হলুদ ম্যাপল পাতা ঝরিয়ে যেই বিদায় নিলো শরৎ,
হেমন্তের হিল্লোলে শিহরিত প্রকৃতি হলো জড়ভরত।
অগ্রহায়ণের আগমনে সেজে উঠেছে বিবাহবাসর,
হিন্দি গানের টানে জমে উঠেছে কীর্তনের আসর।
আমন ধান ঘরে তুলতে চাষীর চোখেমুখে নেই ঘুম,
চারিদিকে লেগে গেছে বনভোজন-চড়ুইভাতির ধুম।
কনকনে ঠান্ডা হাওয়াকে করতে গিয়ে তোষামোদ,
বিকেলবেলায় মেঘের শাটার ফেলে পালায় রোদ।
সাতসকালে আকন্ঠ পান করবো তাজা খেজুরের রস,
মিষ্টি ঝাঁঝালো স্বাদে জিহ্বা আর গলা হয়ে যাক অবশ।
তোমার ঘন কুয়াশার ধূসর রঙের চাদরখানা সরিয়ে,
হে হিমানী আমায় দু'হাতে বুকের মধ্যে ধর জড়িয়ে।
তোমার রুক্ষ চুলে লাগিয়ে আমলকী-শিকাকাই-রিঠা,
ডেকচির ফুটন্ত গরম জলে তুমি বানাবে ভাঁপা পিঠা।
তোমার হাতে তৈরী কড়া পাকের লালি-নলেন গুড়,
আমার ভালোবাসার অজীর্ণতা করবে চিরতরে দূর।
উঠানে আল্পনা আঁকতে পৌষসংক্রান্তির কাকভোরে,
তুমি একলা ফেলে চলে যেওনা আমায় ঘুমের ঘোরে।