কাল বিকেলে বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলাম ডাক্তারখানায়,
হঠাৎ রিসেপশনের কাউন্টারে আমি দেখলাম তোমায়।
তোমার পরনে ছিল বেগুনী ফিনফিনে ফ্রক,
আমি যেন খেলাম হাজার ভোল্টের শক।
তোমার ঠোঁটে লাগানো পার্পল কালারের লিপস্টিক,
নিজেকে কিছুতেই রাখতে পারলাম না ঠিক।
গার্নিয়ার মাল্টি-লাইটস মাখা তোমার খোলা চুল,
যেন কোমর পর্যন্ত বিস্তৃত সমুদ্রের উপকূল।
তোমার ঐ চপল চোখের চকিত চাহনি,
আমার উপর বিস্তার করেছিল যেন সম্মোহনী।
যদি আমার ভালোবাসায় তুমি দাও সাড়া,
তোমার উত্তরের আশায় নাম রেখেছি উত্তরা।
কুমারত্বের একাকীত্ব থেকে খুঁজেছিলাম বাঁচার উপায়,
তখন কি জানতাম দাম্পত্য এতো অসহায়!
বিবাহ বানিয়েছে আমায় চিরকাল উপেক্ষার পাত্র,
কলহে কাটিয়েছি দিন বিরহে জেগেছি রাত্র।
সারাজীবন ধরে করেছি অজস্র ত্যাগ স্বীকার,
তাই আজ পেতে চাই উত্তরার উত্তরাধিকার।