জলধরের জল করে টলমল মেঘলা আকাশ পানে,
বায়ুর উত্তাপ বাড়ায় স্নায়ুচাপ পুঞ্জীভূত অভিমানে।
ধুয়েমুছে যাক গ্লানি কেটে যাক অশনি আর ভয়,
তোমার শাড়ী ভীষণ ভারী খুলে ফেললে কি হয়?
যতই আসুক প্লাবন তোমার সঙ্গে হোক আলাপন,
কদমতলায় চলো প্রেমে মেতে উঠি মোরা দু'জন।
স্নান করে বৃষ্টিধারায় গাছেরা হয়ে উঠেছে চিরহরিৎ,
তোমার ছোঁয়ায় আমার দেহে বইছে প্রবাহী তড়িৎ।
তাড়াহুড়ো করে ফিরছে ঘরে ঝাঁকে ঝাঁকে কত পাখি,
বুকের আবেগের বেগ বলো কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখি?
হে ললনা, বলনা কেন তোমার ছলনাময়ী রোদন?
চোখ মেলে তাকিয়ে দেখ না বর্ষার অকালবোধন।
দমকা হাওয়ায় খুলে গেছে তোমার খোঁপার বাঁধন,
ধরে ঐ চুল ক্লান্ত আমার আঙুল যেন অসাধ্য সাধন।
তোমার উত্তাল যৌবন করছে ক্ষরণ আমার কামরস,
উপসাগরীয় ঊর্মির ঘূর্ণি ছুটিয়ে আসুক যশস্বী যশ।