তোমারই তো কাছে রয়ে গেছে যেটুকু ছিল প্রাণে প্রেম,
তোমারই তো গালে রয়ে গেছে যেটুকু ছিল হাতে স্নেহের ছোঁয়া;
তোমারই তো মনে রয়ে গেছে যে আত্মা ছিল দেহে,
তোমারই তো কাছে রয়ে গেছে এ জন্মের পাওয়া সবটুকু প্রেম।


তোমাকে ডাকাত বলা চলে,
সেই যে এলে,
এসে জীবনের খুঁটিনাটি সব গুছিয়ে নিয়ে গেলে।আত্মাটুকুও তোমার মনে বন্দী।
এখন তো শুধুমাত্র একটি খোলস,তাকিয়ে আছে জীবনের দিকে চেয়ে।


আমিও কেন যেন তোমার ডাকাতিয়া স্বভাবকে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখেছি,
আমার কাছ থেকে আমাকে নিলে,আমার ধ্যান-জ্ঞান,স্নেহ-ভালবাসা,আকর্ষণ,ভাবনা জগৎ সব নিয়ে গেলে।
রয়ে গেলাম শূন্য আমি।যদিও বৃত্ত ছিলাম,তোমাকে বিন্দু করে রেখে আবর্তন করেছি।
তারপর,বিন্দুহীনতায় শূন্য হলাম।


আচ্ছা?ডাকাতেরা জখম ব্যতীত কেন আর কিছুই দিতে পারে না!
তাঁদের কী মোটেই ইচ্ছে হয় না তাঁদের ট্যাঁক থেকে কিছুটা স্নেহ-মমতা কাউকে দিতে?তাঁরা কী চায় না নিঃস্ব না করে উল্টো ভরিয়ে দিতে?
তাঁদেরও বুঝি বাধ্যবাধকতা আছে?জানি না।


মনের ডাকাত হোক কিংবা ধনের ডাকাত,দুই স্থানের ক্ষতিপূরণেই থাকে শূন্যতা।