দুপুর আমার বড্ড প্রিয়,
প্রিয় রৌদ্রের ঝলমল;
সময় যেন থেমেই থাকে,
শুনতে আকাশের কোলাহল।


বৃষ্টি খুব অভিমানী তুমি,
ঝড়ো নি কতকাল;
হাত মেলে আকাশে চেয়ে থাকি,
এই বুঝি এলো মেঘের পাল।


দুষ্টু বিকেল গড়াতে গেলে,
ঘড়ির কাটা থমকে দাঁড়ায়;
পাঠ্যবইয়ে মুখ গুঁজে আমি,
মন ছুঁড়েছি অন্য পাড়ায়।


দীর্ঘ বিকেল কাটছে না বসে,
উড়তে যদি পারতাম;
পাখির ডানা যদি গজাতো হাতে,
আমিও মেঘের উপরে উড়তাম


বেনেবউ আমায় ছুঁড়ছে আহ্বান,
খেলবে গানের খেলা;
মুক্ত আকাশে আমি ছুঁড়ি,
আমার কন্ঠের গানের মেলা।


নীলচে রঙের মিছিল টেনে,
আসছে নীলচে ফড়িঙ;
খুব নেচেছে গোধূলি পেয়ে,
ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছাদের রেলিঙ।


তীব্ররকম ক্লান্তি নিয়ে,
ফিরছে পাখিরা বাড়ি;
সন্ধ্যে আসবে বলে ঘরমুখী,
উঠোনের সব নারী।


গোধূলিটাকে আটকে রাখার,
থাকতো যদি পাত্র;
আটকে নিতাম সবটুকুই,
যেতো না অন্যত্র।


লাল হলুদের মিশ্র রঙে,
নতুন আভার সৃষ্টি;
মেঘের পিঠে মেঘ ঘেষে রয়,
তবু ঝড়ায় না বৃষ্টি।


সন্ধ্যে এলেই আজান ধ্বনিতে,
বিশ্ব মুখরিত;
খোদার পানে চেয়ে এবার,
কপাল ছোঁবে ভূপৃষ্ঠ।


জোনাক মহল করেছে চুরি,
ঐ চাঁদের আলো;
মিটিমিটি জ্বলে নিভে,
উল্লাস মুখর আধার কালো।


রাতের আকাশ ঝিলিমিলি খুব,
অজস্র তারার মেলা;
নগ্ন হাত বাড়িয়ে মাখি,
চাঁদের আলোর খেলা।


হুতুম প্যাঁচার গোসসা খুবই,
লোকে চেয়ে থাকে তার চোখে;
ডালের ফাকের চাঁদের আলো,
উঁকি দিচ্ছে তার পাখে।


ঘুমের ঘোরে ব্যস্ত শহর,
ভুলে জীবনের খবর ;
প্রভাতের প্রতিক্ষায় ঘুমন্ত জীবন,
নেই চাঁদের কদর।


শান্ত হাওয়া শান্ত আকাশ,
মাঝে চন্দ্র তারা;
সজ্জিত ওরা কাদের তরে!
খোজ নেয় না যারা।


প্রভাত আনে কোমল রোদ্দুর,
মিষ্টি আবহাওয়া;
জানলার কোণে উঁকি দিয়ে দেখি
পাখিদের আসাযাওয়া।


সকাল মানেই আমার কাছে,
মাটিতে শিউলীর মিছিল;
দুষ্টু শালিক ঠোটে গেথে,
মেখে আসে আকাশের নীল।


দুপুর আমার আমার বড্ড প্রিয়,
প্রতিক্ষা কড়া রোদের;
মেঘেরাও থমকে দাঁড়ায়,
দেখতে কান্ড মোদের।