এক দুপুরের কথা বলি।
যে দুপুরে রোদে স্নান করে করে শ্রান্তির উদ্দেশ্যে চলেছি।
সেই দুপুরে রোদের নদে ভেসেছিল কিছু ঝরা পাতা,সাতরে বেড়াচ্ছিল অজস্র ফড়িং,বোলতা,টুনটুনি।
রোদের জলে হুটহাট ডুব দিচ্ছিলো এক ঝাঁক সাদা প্রজাপতির দল।
এই প্রজাপতিগুলোর মধ্যে কোনো ক্লান্তি নেই।
না জানি কোন সে আনন্দের তুমুল ঝড় বইছিল তাদের প্রাণে।ঢেউয়ের মতো করে বিচরণ তাদের।
বুলবুলির জুটিটা বড্ড জালিয়েছে ফড়িংগুলোকে।হঠাৎ উড়ে এসে ঠোঁটে আটকে নিয়ে গেছে নীল ফড়িংটিকে।আমি যদি বাচ্চা হতাম,নির্ঘাত কেঁদে দিতাম।
রোদের জলে সবার স্নান।ডানা দু'টো সটান সোজা করে,গাছের ডাল থেকে একে একে তিনটে ঘুঘু ঝাঁপ দিয়েছিল।
এই ঘুঘুগুলো বড্ড ভিতু।সেই কত্তদূর থেকে আমাকে দেখেই পালালো।
রোদের গরম জলে স্নাত কুঞ্জলতার লাল,সাদা,গোলাপী ফুলে ফুলে মৌমাছি ও মধুখেকো পিঁপড়ের ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে।তাদের মধু সংগ্রহের তোড়জোড় দেখে আমি অবাক!এদের বুঝি আর কোনো কাজ নেই এ ছাড়া।
আমার পথচলা থামে সহসা এদের কার্যকলাপ দেখামাত্র।
কোনো প্রজাপতির ভুল করে লজ্জাবতী গাছের পাতায় পা রাখা মাত্রই পাতাগুলো লজ্জায় বুজে যায় আর সে ভয় পায়।তা দেখে আমি হেসেই কুপোকাত।
আমার পথচলা ধীর করে দেয় এরা।আমার পথচলা আনন্দময় করে দেয় এরা।আমার পথচলায় কোনো ক্লেশ,বিষণ্ণতাকে ঠাঁই দেয় না এরা।