কহিলো শ্রবণ,ডাকিলো গ্রহণ,
নিকটে মিলিবার জয়গান।
শরীরে লাগিলো ফাগুন,প্রাণেতে আগুন,
আদৌ কী নিকটে মিলিবার জয়গান?
ফুরাইলো কুহেলিকা,দেবদারু বনে কুহূতান,
সন্নিকটে কী আসিলো মিলিবার জয়গান?
বাতাসে বাতাসে বহিছে ফাগুন,পলাশে পলাশে শোণিত আগুন,
শিরায় শিরায় মিলিবার জয়গান পূর্বাপেক্ষা দ্বিগুণ।
রোদনে মলিন পলক,মলিন পলকজুঁই,
মলিন হইলো হৃদ নগরী,শ্রান্তি পাইবো কই?
নগরী কোলে সন্ধ্যে,
নামিলো কী আনন্দে;
তাহারই সহিত আসিলো জোনাক,
ভাসাইলো ভূবণ মিটমিটে আলোর ছন্দে।
ছন্দ পাই না কিসে,
সবেতেই যে আছে মিশে;
মিলনের ছন্দ না পারিলে পড়িতে,
হৃদ মুচড়ে মুষড়ে যায় যে বিষে।
বলো ছন্দ নাই কিসে,
শ্রবণে,গ্রহণে,বরণে,চরণে,মিলনে;
সবেতেই যে আছে মিশে,
আছে অনাবিল মিলিবার জয়গানে।


শ্রবণে নাড়িলো কড়া,লাগিলো খেয়ালে নাড়া,
গগনে ডাকিলো শালিক,কহিলো প্রেমেতে আগুন,
তবুও কী নিকটে মিলিবার জয়গান?


সুরের দূরে তবু,বোধহয় নিকটে মিলিবার জয়গান।