পালানোর প্রহর এসেছে প্যাঁচা,
কালবৈশাখের ছোঁয়া লেগেছে আকাশে,
উত্তর কালো,দক্ষিণ কালো,
পশ্চিমের আকাশও হলো ফ্যাকাশে।


ওরে প্যাঁচা,বাড়ি ফিরে যা,
আজ বন্ধ নজরদারীর কাজ,
গিয়ে বাঁচা,নিজের বাসা,
এই ভেঙে পড়লো বলে গাছ।


ঝড়ে তোড়ে কচি আমের,
বোটা ছিঁড়েছে,
তার গায়ের কাদা ধুলো,
বৃষ্টি ধুয়েছে।


বৃষ্টি জলে প্যাঁচার ডানা
ভারী হয়েছে,
ভেজা ডানা উড়তে নারাজ,
সে বিশ্রাম চেয়েছে।


মাঠের গরু ছুটছে দ্রুত,
পিছু নিলো রাখাল,
আজ বাঁচলে বাপের নাম,
নয়তো হারাবে আগামী সকাল।


কুঁড়েবাসী ব্যস্ত ভঙ্গুর ছাদ ঠেকাতে,
না জানি কখন উড়ে যায়,
উড়লে একবার ঘরের চাল,
ঝড়ের বেলায় ঘরে বন্যা বয়ে যায়।


শহরবাসীর ভাবনা নেই,
তাদের আছে বিশাল অট্টালিকা,
ঝড় হলে তো ভালই হবে,
সুন্দর দৃশ্য যাবে দেখা।


ভবনের ছাদে বাহু মেলে জানাবে,
ঝড়বৃষ্টিকে আমন্ত্রণ,
অতি আদরে তার বদন ছুঁয়ে,
গ্রহণ করবে নিমন্ত্রণ।


পথবাসীরা আরো দুঃখী,
ছাদ বলতে গায়ের চাদর,
মানুষভর্তি শহর খালি হয়ে যায়,
তাদের প্রতি দেখাবার বেলায় আদর।


কালবৈশাখীর একটিই রূপ,
তবে আমাদের তরে ভিন্ন,
কারো আমোদ,কারো বিপদ,
কারো নষ্ট করে অন্ন।