শহরে বৃষ্টি নামে অকস্মাৎ,
ইট-সিমেন্টের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয়া মাটি থেকে মাথা তুলে ওঠা ঘাসেরা নেয় বৃষ্টিস্নান।
শুষে নেয় সজীবতা বৃষ্টির ফোঁটা থেকে।
পিচ ঢালাইয়ের রাস্তার গায়ে সাতরে বেড়ায় বৃষ্টি,
ঢালুতে খোঁজে আবাসন।
শহর ঘুরে সকল জল ঢালুতে মিলিত হয়ে বানায় গ্রাম নতুন,
বন্যা সে গ্রামের নাম;এ বন্যা তো মেঘের সন্তান,
মেঘের কোল ছেড়ে আসে ভুবনে,কোলে ঢেকে নেয় শহরকে।
শহরে বৃষ্টি নামে অকস্মাৎ,
গাছেরা হাতের ন্যায় ডাল ছড়িয়ে মাতে বৃষ্টি বিলাসে,মুছে ফেলে রোদের গন্ধ,শহরের দূষিত দাগ।
অপেক্ষার উদাহরণ হলো গাছ,
বছরের পর বছর মাটিতে শেকড় গেড়ে সেখানেই অপেক্ষায় থাকে শুধু মেঘের মেয়ে বৃষ্টির,
আসবে কখন,বদনে সজীবতা ঢালবে কখন,শীতল স্নেহের আলিঙ্গন দেবে কখন।
শহরে বৃষ্টি নামে অকস্মাৎ,
বৃষ্টি থেকে যেথায় বাঁচতে ছাউনি মুখী সকলে,
বৃষ্টি মুখী তখন চরণ দুটি,স্পর্শে শ্রান্তি বৃষ্টিজলে।