সেবারের বসন্তেও তুমি বাসন্তী হয়ে ফিরলে না,
মেহগনির শুকনো পত্রের পথে পথে অনেক হেঁটেছি,খুঁজেছি;
সেবার কোকিলের কণ্ঠস্বর কানে বিঁধেনি,অপলক শুধু চেয়েই ছিলাম।কোন দিকে,তাও জানি না,
চোখে অপেক্ষাও ছিল না,অস্থিরতা ছিল,যদি দেখা পাই।
আবছা কুয়াশা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়,অর্থহীন মায়ায়।কেবলই দেখেছি চতুর্দিকে,যদি বাংলাদেশে চেরি ব্লোসমের মতো করে তুমি আমার সামনে হঠাৎ আসতে,
আমি মোটেই অবাক হতাম না।
বরং চোখের অস্থিরতা রোদের দেখা পেলে কুয়াশা যেমন মিলিয়ে যায়,তেমন মিলিয়ে যেতো।
সেবার বিকেল গুলো কেমন অদ্ভুতই ছিল,নিস্তব্ধ তবু হাহাকার!
জনমানব চতুর্দিকে তবু হারানো গহীন বনে।
বাসের জানলায় বোকার মতো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি,
হয়তো তুমি আকাশে তাকিয়ে বাতাসের উপদ্রবে এদিক সেদিক উড়ে বেড়ানো,চোখ মুখ ছুঁয়ে বেড়ানো চুলগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে চাইছো এমন অর্থহীন আশায়।


প্রতি জানালাতেই কেউ না কেউ থাকতো,বাইরে কি যেন দেখতো,তবুও না;
সেখানে বড্ড শূন্যতা দেখতে পেতাম।


ভুলতে না পারার ব্যাধি আর অমরত্ব দুটোই যে হাজার বছরের যন্ত্রণা।