তুমি চলন্ত ট্রেনের বগির একমাথায় দাঁড়িয়ে রইবে,দরজা দিয়ে দেখবে রৌদ্র,ছায়া ও হাওয়ার খেলা।
বগির ঠিক অন্য প্রান্তে আমি,
দু'জনের কেউই জানবো না দু'জন রয়েছি কিছু দূরত্বের দু'প্রান্তে;
তুমি সামনের আসতে থাকা প্রকৃতি দেখবে,যেমনটা দেখো শুধুই আসতে থাকা দিনগুলি;
আমি ছেড়ে আসা প্রকৃতি গুলো দেখব,ছেড়ে আসা দিন গুলির মতো।
তুমি ফিরেও তাকাবে না পিছনে,ধরেও রাখতে পারছো না বর্তমান;
আমি ছেড়ে আসাকে দেখেই এগোচ্ছি সামনে,আন্দাজ করে চলছি,কত কী ছাড়লাম,কত কী ছাড়তে হবে!
তোমার চোখে ধোয়াটে ভবিষ্যৎ,দেখতে পারছো না তবুও বৃথাই চেষ্টা সর্বক্ষণ,
আমার ভবিষ্যৎ দেখার ইচ্ছে নেই,যা আসছে আসুক,বড় বেদনার কারন বেশিরভাগই আশা ভঙ্গ।
আমরা অকারনেই দু'প্রান্তে দাঁড়িয়ে,বাইরে তাকিয়ে রইবো,
আমি তো এ মাথায় থাকবো,
আমার আর তোমার অজান্তেই কী তোমার নিশ্বাস গুলো আমায় ছুঁয়ে যাবে!
জানি না,


তবে,
যখন আমি বাইরে হাত দিয়ে রোদ ছোঁবো,ঠিক তখনই তুমিও যদি হাত দাও রোদ ছোঁয়ার জন্যে,
তাহলে তোমার স্পর্শিত রোদ আমায় ছুঁয়ে দেবে;ততটাই স্নেহের সাথে,যতটা স্নেহের সাথে তুমি রোদকে ছোঁবে।


ট্রেন থামলে হয়তো দু'জন দু'দরজা দিয়ে দু'দিকে চলে যাবো,
হয়তো কোনো যুগেই কেউই জানতে পারবো না,
পরোক্ষ ছোঁয়ার আলাপচারিতা ছিল বগির দু'প্রান্তে।