শহর জুড়ে ভাসছে শুধু মন খারাপের শোক,
ভীড় সমুদ্রে ভাসছে তবু একলা বহু লোক।
শহরের বাতাস কলঙ্কিত হয়েছে ভাঙা প্রাণের শোকে শোকে,
সবাই ভুগছে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাথায়,কে কাঁদবে অন্যের অসুখে।
শহর জুড়ে শোকের চিৎকার,কান ফাটানো শব্দ,
শোক চেনে না তাঁরাই কেন শোকের মিছিলে সাজে বিক্ষুব্ধ!
শহর জুড়ে এতই মুখোশ,মুখোশেরও মুখে লজ্জা,
আসল মুখ ধামাচাপা খায়,এমনই তাঁর সাজসজ্জা।


শহর ভরা গাছে তলায় অপেক্ষা চলমান,
দেরি হলে,দেরির মাশুল দিতে হলে ভাঙতে হবে অভিমান।
ভাঙতে গিয়ে অভিমান শুনাতে হবে গাছের উদাহরণ,
গাছ কীভাবে আমরণের অপেক্ষাকে করে নিয়েছে বরণ।
তবে জানা নেই গাছেরা এত শতাব্দী ধরে কীসের অপেক্ষা করে?
শতাব্দীর পর শতাব্দী ঠায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে মরে।
যে লোকে এত এত অপেক্ষা করে সে শুধুই উপেক্ষা গ্রহণ করে,
উপেক্ষা পেয়ে ভিতরে ভিতরে সে যেন সবুজ পাতার মতো ঝরে পড়ে।


শহর জুড়ে শোনা যাচ্ছে ঐ শোক পাখির ডাক,
রাত গভীর হলেই ছড়িয়ে পড়ে কান ফাটানো হাঁক।
শহর জুড়ে প্রেমের মেলা নদীর স্রোতের মতো বিস্তৃত,
কিন্তু নেই তো প্রেম,মুখোশধারী প্রেমের ছায়াই আছে ভীড়ে মিশ্রিত।


হাজার বছর ধরে প্রেমের মূর্তি শহরে অপেক্ষমান,
অপেক্ষার বুক চিরে ভীড়ের মাঝে একলা করা আজও চলমান।
শহরে প্রেম কুয়াশা মিলায় শোকের রৌদ্র তাপে,
কেউ কাঁদে না কারো শোকে,কেবল অন্যের শোকের মাত্রা নিজের শোক দ্বারা মাপে।