মিউজিয়ামে বাঁশের কারুকাজের কিনারায়
ডিজিটাল ফ্ল্যাশের ছড়াছড়ি
ব্যাকরণহীন জীবন-মরীচিকার চাহিদায়
প্রেমিক-প্রেমিকাদের আলসে চলাফেরা
অচেনা শহরের সৌরভে ভেসে যায়;
কোমর অবধি আবরণহীন ব্যাকলেস
চোখ নিয়ে গেছে ফিনফিনে শাড়ির নাভি
রোমহীন ঊরুর মাংসল মিনিস্কার্ট হয়ে,
বিলুপ্তপ্রায় প্রবালের সব গ্ল্যামার শেষ
নাভিঃশ্বাস তোলে রঙীন ঐতিহাসিক ছবি
ফুরিয়ে গেছে কামনার তরলে বয়ে …


বাইরে জাঙ্কফুডের স্টলের পাশে
জোড়ায় জোড়ায় ফটো তোলাবার হিড়িক
মশগুল নজরে ছড়িয়ে ওঠার আগেই
হাতায় টান পড়ে আলগা মৌখিক,
ভাড়া করা সংসর্গ …


খুপরি হোটেলের আঁশটে ঘরের ভেতর
দু’জন গুমোট নিঃশ্বাস চওড়া হতে
থাকে সিগারেটের ক্লান্ত ক্ষরণের সাথে,
বিয়ারের বোতল থেকে চুঁইয়ে পড়া জল কাতর
নজরে দেখে দেহাতি যুবতীর শরীর:
ফুটপাতের ঢালে কেনা ছাপা অন্তর্বাস,
ফ্যাকাসে চামড়ায় ধকলের ছোপ স্থির
আর গাঢ় হতে থাকে নেশার রাশ,
অচেনা দেহে অজানা সুরভির অতিরেকে
কেন চুলের রাশিতে পাতি শ্যাম্পুর গন্ধ
প্রত্যঙ্গের গভীরে মাদকীয় উচ্ছ্বাসের ব্যতিরেকে
দুটো শ্রান্ত লাশ-ভাড়া করা রাত অন্ধ!
অথচ বাধকতা নড়তে থাকে বিন্দু বিন্দু করে
কাঁপতে থাকে সস্তা অ্যাশট্রে’র ঝিল্লি,
আলতোভাবে জানালার জংপড়া রড ধরে
তার ঘুম ঢলে আসা চোখে নরম নিরিবিলি
খেলা করে স্ট্রীটলাইটের ঝাপসা পেরিয়ে,
ধীরে ধীরে সব আওয়াজ-ই যায় হারিয়ে
মহাকালের কালো মহাশূন্যে …