কাদাজমা আঁধার গলি দিয়েই
সে আসবে কাঁধে খাদির ব্যাগ নিয়ে
শেষ স্ট্রীটলাইট-টা পার করে
ঝাপসা নীরবতার দিকে, ঠিক সময়ে …
শীতের চাদরে শহর ঘুমে জবুথবু,
হিমেল উত্তুরে বাতাসে কাতর
প্রত্যঙ্গ অসাড়তার সাগরে হাবুডুবু
খেয়েছে বারবার … বারবার!


রবীন্দ্রনাথ নয়, ক্ষুধার্ত প্রজন্মের লাইনগুলো
মনের ব্যারিকেডে আটকে আছে আজও,
শালোয়ারের নষ্টা গন্ধে ছিলনা হারাবার
কিছু তবুও সেই তোমারই পিছু পিছু
কিছু পাবার আশায়,
শরীর নয় … শরীর নয়!
আমার পথ শেষ হয়েছিল যেখানে
ড্রেনের জলে বয়ে আসা
হাওয়াই চপ্পলের আওয়াজ অবসন্ন;


ভোজালিটা পকেট থেকে আরেকটু
বার করে রাখি কব্জির আড়ালে
একরাশ সস্তা চোলাইয়ের ধোঁয়া পেরিয়ে
তুমি সেবার যখন হাত বাড়ালে
আমার দিকে-হাড়জিরজিরে শরীরের দিকে,
আমি ফুরিয়ে গেছিলাম।
হাতে পিস্তল উঠে এসেছিল,
ছিঁড়ে গেছিলাম সমাজ থেকে
আর ঘৃণারা বাসা বেঁধেছিল
এখানে-সেখানে-সর্বত্র!


কুঁকড়ে যাওয়া একটা অস্পষ্ট ছায়া
এগিয়ে আসছে ধীরে ধীরে,
বনলতাকে খুঁজেছি কতবছর
এখানে-সেখানে আর নাটোরে,
কাল্পনিক … সব কাল্পনিক!


হাজারো সুগন্ধীর মত কৃত্তিম
চাররাস্তার মোড়ে শরীর বিকোচ্ছে,
হৃদয় বিকোচ্ছে, মানুষ বিকোচ্ছে
তাই ভেবেছি বিকিয়ে যাওয়াই ভালো
সারা গায়ে আরো কালো মাখবো
শীতের রাত থেকে খাবলে নিয়ে।


এসে পড়েছে, চলে এসেছে
কাছাকাছি, একেবারে কাছাকাছি,
পাশ কাটিয়ে যাবার ভান করে
ভোজালিটা সজোরে দিয়েছি …
গরম কালো তরল … কালো তরল!
ফিনকি দিয়ে,
কব্জি থেকে কনুই পর্যন্ত চাপা
আর্তনাদে এক ঝলক,
বাঁধন ছিঁড়ে যাবার হাসি নাকি
মুখে লেপটে রয়েছে একেক করে
বিকৃতি ক্রমে সাধারণে-দৃষ্টি অপলক;
সারা শরীরে টিটকারির হাসি,
অসাড় শরীর প্রেমে পড়ার আগে
আঁধারের দিকে ইঙ্গিত করে যায়,
মুখে জড়িয়ে থাকে অসময়ের হাসি,
টিটকারির হাসি … বিদ্রুপের হাসি!