শুনলাম একটু দূরে নাকি
একটা ভগ্নাবশেষ আছে বেশ প্রাচীন,
রক্তের শুকানো দাগগুলো মাড়িয়ে
সরীসৃপ হিজিবিজিগুলোর শেষে
পৌঁছানো গেল শেষমেষ।


ধ্বংসের হাতে সঁপে দেওয়া একটা
মন্দির কিংবা মসজিদ বা চার্চ,
তবে ঐতিহাসিক আর বিলুপ্তপ্রায়
এখানে আগে ঈশ্বর বিরাজ করতেন,
এখন পেঁচা-বাদুড়েরাও আসতে ভয় পায়।


ক্যামেরার চোখ দিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখলাম,
দেওয়ালগুলো নানান অস্ত্রের আঘাতে
জর্জরিত একেবারে নীরব দর্শকের মত
তাকিয়ে হয়তো স্পন্দন আছে
কিন্তু কোনো আওয়াজ ছিলনা;
মাঝখানে গজিয়ে ওঠা অবাধ্য আগাছাগুলোর
ওপর ভুসোকালির স্তর গাঢ় হয়েছে,
কারোর সেদিকে নজর পড়েনি।


ফিরতিপথে বাঁ-দিক থেকে
একটা ছবি কুড়িয়ে পেলাম অনামী হাতের আঁকা,
ঝুল আর নোংরা সরাতে লাগলাম,
কোনো এক নারীর ছবি,
ভাবলেশহীন এক অজানা উত্তেজনা চোখেমুখে।


হাত থেকে ক্যামেরাটা খসে পড়লো,
কোনো আওয়াজ হলনা ...