শহরতলি থেকে ভোর ভেসে আসার
উজাগর সুরভি
দানা বাঁধতে থাকে
একেক করে সব বাঁধন খুলে যাবে
নিষিদ্ধ আঁধারের
আর বিবসনা রাত তোমাকে
পেতে চেয়েছে ঠোঁটের কামনায়
রাস্তাঘাটের অস্পষ্ট ব্যস্ততা থেকে
বহুদূরে যেখানে চাঁদের চলার
আওয়াজে ফিকে হয়না
ধানের শিষে আটকে থাকা শেষ
শিশিরের ভিজে …
বাসের ভিড়ে তোমার ঘামের রঙে
বসন্তের পাতলা নীরবতা
মিশেছে বহুবার উড়ন্ত ঘুড়ির
কাঁপা কাগজের মত
মিলেছে তোমার ওড়নার গন্ধে
কামনার ফেনিল চাহনি
পুকুরের ওপর ঝুলে থাকা
আবছা কুয়াশার জাল সরিয়ে
তুমি ভালোবাসা ভেবেছো ভালো
আর কাগজের নৌকা চুবিয়ে জমাট
কালো ছেড়েছি একের পর এক
দিগন্তের কিনারে যেখানে
একসময় চাষার উৎসব হত
চাঁদের সোনা মেখে মহুয়ার সুরে
হাঁড়ি-বাগদি মেয়েদের হাসিতে
সব তলিয়ে গেছে
সংগ্রামীদের রক্তের লালের সাথে
কেউ কোথাও নাই হয়তো
ফিরতে চাইনি যেখানে কথা ফেরার
রাতের গোপন কানাচে
আলিঙ্গনের উষ্ণ শরীর জাপটে
মেঠো পথ তোমায় পেতে চেয়েছে …