রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়,
ঝান্ডাধারী ক্যাডারদের দাপাদাপি
আর অলিগলি-ফুটপাতে অবক্ষয়
শ্যাওলা-আগাছার মত গজাতে থাকে;
জোড়াতালি দেওয়া সমাজ
লুঠতরাজ আর লুম্পেনরাজের ফাঁকে
লুটিয়ে পড়ছে প্রতিরোধহীন বাঁকে,
ঊরুভাঙা দুর্যোধনের মত ধীরে ধীরে …


এই জোর-জুলুম-খুন-ধর্ষণের মাঝে
থমথমে দেওয়ালে প্রকাশ হতে থাকে
তাঁর লেখা প্রতি শনিবার মাঝরাতে।
কয়েকশো বিস্ফারিত চোখ বোঝেনা
এত তেজ লেখনীতে আসে কোথা থেকে!
এই আগুনে ভাষার রক্তলাল চেহারা
তৈরী হয় কোন কারখানায়, কোন হাতে!
ছদ্মনামের আড়ালে চাপা পড়ে কাল্পনিক মুখ।


তাঁকে দেখতে চেয়েছিলাম একবার,
কোন হাপরের ফুলকি দিয়ে গড়ে উঠেছে
তাঁর ঋজু মেরুদন্ড দুর্নিবার!
আঙুলের ডগায় বিপ্লবী চেতনা অনন্ত,
রাতের আঁধারে জ্বলে ওঠা
মনে জীবনীশক্তির প্রবাহ অফুরন্ত!
থমথমে হৃদয়ের রাস্তায় রাস্তায়
পৌঁছে যায় জেহাদী আগুনের স্ফুলিঙ্গ!


তাকে দেখতে পেয়েছিলাম একবার,
যখন ক্ষমতাসীন দলের দালালরা
তাঁর রক্তাক্ত লাশ টাঙিয়ে দিয়েছিল
চৌরাস্তার মোড়ে-উলঙ্গ আর অসাড়-
একটা কুড়ি-বাইশ বছরের যুবক
রোগাপাতলা, আমার থেকে অনেক ছোটো!
আর একটাও লেখা বেরোয়নি,
বেরিয়ে এসেছিল শুধু বিপ্লবের হুঙ্কার!



*** ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক ***