নোংরা বস্তির কানাগলিতেই বেড়ে ওঠা
ছোটোবেলায় মা হারিয়ে গেছিল,
দুই যমজ ভাইয়ের কালোকোলো
চেহারায় অসহায়ের দাগ লেগেছিল
খেটেখাওয়া দুনিয়ায়;
বড়োভাই মস্ত ডানপিটে শক্তপোক্ত,
ছোটোভাই সম্পূর্ণ উল্টো,
দেখভালের অভাব-শিক্ষার অভাবে
বড়োভাই বখে গেছিল,
দুষ্টুমি-ডানপিটেপনা থেকে শেষমেষ
চুরি করতে গিয়ে মারও খেয়েছিল,
হানাদারদের তাড়িয়ে যেবার বীরের
খেতাব পেল সেই সেবারই তো
সে মহল্লার সাহসী জিমি হয়ে উঠলো
বানিয়ে ফেললো একটা ছোটোখাটো গ্যাং
আর নিজে গ্যাংলিডার;
জিমির গ্যাং-কে মহল্লার লোক ভয় পেত,
তবে মল্লিকদের কলেজে পড়া মেয়েটা
ফেরার পথে জিমিকে আড়চোখে দেখতো,
জানালা থেকেও তাকিয়ে থাকতো –
জিমি বেশী আমল দিত না
কেননা ওর ভালো লেগেছিল
পাশের পাড়ার ময়নাকে;
ময়নাকে সে প্রায়ই লুকিয়ে দেখতে যেত
কিন্তু মনের কথা জানাতে পারতো না,
শেষমেষ সেদিন বিকেলে ময়না যখন
দোতলা’র ব্যালকনিতে শরীর এলিয়ে দাঁড়িয়েছিল
জিমি তাকে রোমিও’র মত প্রোপোজ করে বসলো;
বেশ কিছুদিন পর ময়না রাজী হল
একটা আঁধার গলিতে ওরা দেখা করলো
ময়নাকে আর খুঁজে পাওয়া গেলনা,
পাওয়া গেল কিছু লাল পালক।