আদালতের সামনে শ’খানেক মানুষের ভিড়
দেখে এগিয়ে যায় মাপা কৌতূহলে,
পুলিশের ভ্যান থেকে টেনে-হিঁচড়ে
বার করা হয় দু’হাতে মুখ ঢাকা শরীর-
ব্যানার-প্ল্যাকার্ডের হাতেরা শক্ত খুব
কানফাটানো শ্লোগানের কাঁপনে,
“নৃশংস-পাশবিক ধর্ষণকারীর ফাঁসি চাই”!
আকছার ভুসিমাল ভেবে পিছন ফিরতে যাবো
অমনি ভিড় থেকে কারোর ছোড়া কিছুতে
হাতের আড়াল সরে যায় একটু,
অবাক চোখে তাকিয়ে থাকি
হাড়কাটা লেনের রংমিস্ত্রী বেচু না!
হ্যাঁ, ঐ-ই তো ...


ইনসিওরেন্সের অফিসে চুনকামের দৌলতে
আলাপ হয়েছিল ওর সাথে,
বেশ কয়েকদিন ময়দানের শান্ত বিকেলে
আড্ডা দিয়েছি বিড়ির ধোঁয়ায়,
গাঁজাতেও হাত পাকিয়েছিলাম ওর দেখাদেখি,
কোন্ ব্যাঙ্ক-ম্যানেজারের মেয়েকে নাকি
ওর খুব ভালো লেগেছিল,
অতটা খারাপ ছেলেও তো ছিলনা ...!


রাতে বাল্বের আলোয়
হিসেব লেখালেখির কাজ সারতে সারতে
কখন যে চোখে ঘুম জড়িয়ে আসে
আর বেচু এসে ডেকে নিয়ে যায়
ময়দানের ভেতর বেঞ্চ-চেয়ারের ভিড়ে
হাতুড়ি ঠুকতে থাকা একনাগাড়ে
ধোঁয়ার রাশি সরিয়ে শ্লোগানের মাঝে
ধর্ষণের কালো কাপড় খোলা
কাঠগড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে সবাই,
আমিও ...