তলিয়ে যাচ্ছি কোনো অতল আঁধারে
অসহায়ের অস্ফুট আর্তনাদে
শীতল চোরাপাঁকে মৃত্যু গন্ধ পাক
খেয়ে গেছে শকুনের লোলুপ নজর
হয়তো পরিশোধের নরক ছেয়ে
যায় ছেঁড়া ছেঁড়া ছবির ছায়াখেলা:
কখনো ঈষ্টার দ্বীপের পাথরের মূর্তিদের
সাথে একাকী পাথর হয়ে ওঠার শাস্তি,
কখনো রক্তলোলুপ ক্ষিপ্র মূর্তিমান
বিভীষিকা বোয়েয়া দারাতের দেশে
ভারসাম্যের খাদ্যশৃঙ্খল রাখার জন্য,
একসাথে গর্জে ওঠা কয়েকশো ফ্লিন্টলক
ঝাঁজরা করে দিয়ে যায় পাঁজর,
তীক্ষ্ন বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে
দেখা কণামাত্র নিঃশ্বাস বাকি আছে
কিনা এফোঁড়-ওফোঁড় শরীরে,
নিজেকে আঁকড়ে ধরে ফিরতে চাওয়া
আবার নিজের ঝাপসা আলোর দুনিয়ায়!


ঝাপসা আলোর আলেয়া বেয়ে দেখি
সান্দ্রতার গভীর চিরে অসংখ্য
বুনো আদমখোর লালসার লোল লালা
ঝরিয়ে ঘিরে ধরেছে অসহায়
ভাগাড়ের নীরবতা লেপটানো মাংসের
রসে রক্তাক্ত নখর-দাঁত আলোছবি:
চিরে দু’ভাগ জরাসন্ধ দু’টুকরো
হয়ে নিথর পড়ে থাকে নিশ্চল চোখে,
তীক্ষ্নাগ্র কাঠের শূল সারিবদ্ধভাবে
পুঁতে রেখে তার ওপর দূর থেকে
এসে ছুড়ে ফেলা অপরাধী শরীর,
ফেটে চৌচির ব্যতিক্রমী চিন্তনের মাথা
মার্কাড্যার দেল রিও’র কুঠারাঘাতে,
চুপিসার ওত পেতে থাকা নেকড়েরা
ঝাঁপিয়ে পড়ে আচমকা অতর্কিতে
প্রসারিত পেশীর কাঁপা পাশবিকতা,
চকমকি পাথরের ফুল্কি জ্বালতে যাওয়া
দু’হাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তীব্র ক্ষিপ্ততায়!