শুকনো আগুন যখন
কলকে উপচে লাল ছলকে পড়ে
তাকে জীবন বলি


বাউল গানের সুরে
একতারার পেয়ে বসা আবদার
কাকতাড়ুয়ার জরাজীর্ণ কাঁপতে থাকে
মাটির শরীরে বৃষ্টির চুমু
খাওয়ার সোঁদা আওয়াজে
ভেলায় ভাসা উজান মাঝির
জাল বিছানোর সময়ই সে
কোমর জল নিয়ে ফিরে আসে
ঘাসে পায়ের ভিজে গন্ধ রেখে
মেঠো আলপথ বেয়ে শৈশবের
উত্তেজনা ঠিকানাহীন ঘুড়ি ছোঁয়ার
বাঁধ মানেনা উৎসবের আমেজ
নতুন কাটা ধান-লবানের হাসিতে
মেলার নাগরদোলাতেই প্রথম দেখা
ঝিঁঝির ডাক  ব্যাঙের ডাক  শিয়ালের ডাক
আর জোনাকির আলো গায়ে মেখে
একফালি প্রেমের প্রথম চাঁদ দেখা একপলকে


ঘরে ফেরার সময় যখন
সাইকেলে দু’হাত-পা ছেড়ে দিয়ে
তাকে জীবন বলি


দাওয়ায় রেডিওর গান একপাশে
আলসে ঝিমুনি কূটকচালিতে কান রাখেনা
ভাসানের রাতে দালানের সিঁদুর
যদি আঁধার চুলের রাশি সরিয়ে
রাঙিয়ে দেওয়া যেত শিল্পীর মত
তবে রাতপুকুরে নুপুরের শব্দ
রোমে রোমে শিহরণ খেলে যেতনা
আমের মুকুলের সুরভিত নিঃশ্বাসে
হ্যাচাকের আলোর শেষে
অশরীরীদের আনাগোনা পরীক্ষার গুমোটে
ডুবে যায় ধীরে ধীরে
ওড়নার নীলাভ পরশের তিমিরে
দুটো বোঝাতে না পারা চোখ
দুটো অবুঝ চোখ


বুদবুদের নেশা যখন
হাঁড়ি উপচে তাড়ির কিনারা ভাসায়
তাকে জীবন বলি



*** আসরে পথ চলা শুরু করেছিলাম “বিষ” দিয়ে। পঞ্চাশতম উৎসর্গ করেছিলাম আমার অনুপ্রেরণা “নজরুল” ইসলামকে। শততমে “জীবন”কে ছুঁতে চেয়েছি নিজের মত করে।।


এরই মাঝে যাদের পাশে পেয়েছি, তাদের কথা না বললে সব অপূর্ণ রয়ে যাবে। মিতাদি, মল্লিকাদি, শিমুলদি, রিমাদি, অহনাদি, রোমিদি, প্রজীতা, সৌমিতা, অজিতেশদা, পলকদা, সুবীরদা, পবিত্রদা, ইমতিদা, দীপঙ্করদা, শক্তিদা, নীরবদা, চন্দ্রশেখরবাবু, স্বপনবাবু, প্রণববাবু, ধ্রুব জ্যোতিবাবু, অরুণবাবু, খান সাহেব, সালমানভাই, ভানমভাই, সুমনভাই, লিটনভাই, মনিরভাই, শহিদুলভাই, সুলতানভাই, হাসানভাই, আকাশভাই, আনিছুরভাই, কামালভাই, অভি, রাখাল, আনমোল, নয়ন ভরা জল এবং অন্যান্য সবাই যারা এই আসরে লিখতে আমাকে নিরন্তর উৎসাহ দিয়ে গেছে তাদের সবাইকে বলছি, তোমরা না থাকলে এই সেঞ্চুরী হোতোনা। এটা আমার শততম নয়, তোমাদের সবার। ***