গহনাহীন রাতের নীরব গহনে
জ্বলে ওঠে নীরস কাঠের আগুন,
বহ্ন্যুৎসবে অশুভ শক্তির দহনে
গুলজার হয়ে ওঠে উৎসবের মরসুম
আদিম উপজাতির মুখরিত কোলাহলে
সাগরতীরের বালি থেকে অল্প দুরত্বে
বনস্পতি ঘেরা উষ্ণ আঁচের শোরগোলে
ছলকে পড়ে জীবন নিখাদ ঘনত্বে;
মাদল জাতীয় কিছুর ঘনায়মান তালে
স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েতে অন্তরের পরশ
বাড়তে থাকে উত্তেজনা গাছের ডালে ডালে,
রাক্ষসের মুখ আঁকা বড়ো বড়ো মুখোশ
অতর্কিতে দাপাদাপি আগুনের শিরা ঘিরে
মনের দানব যেন বাইরে খেলা করে!


মুখোশনাচের বুনো সুরভি সরিয়ে
আগমন ঘটে এক লাস্যময়ী যুবতীর,
নেকড়ে বাঘের ছাল গায়ে জড়িয়ে
মায়াবী পরিবেশ ধীরে ধীরে মদির
কবিতা লিখে চলে বাতাসের শব্দে
লতা জড়ানো কোমরে পেলবতা
মসৃণ নাভিদেশ কাঁপে আলস্যের অব্দে
তলিয়ে যাবে চাপা রসাতল জটিলতা;
বিস্রস্ত কেশে রাত জড়ানো বিস্ময়
ফেনাউপচানো পানীয়ের অমেয় তৃপ্তি
আনে ভরাট শরীরের নিটোল ভয়,
কৃষ্ণকায় ছন্দের অনুরণিত ব্যাপ্তি
কশেরুকায় চেপে বসা আলতো অবশ
হয়ে খুঁজে নেবে শেষ অমৃতরস…।