রাত জেগে পাতার পর পাতা
অশ্লীল কবিতা
উগরে চলে কামনার আকর
বাইরে গোলাগুলি-লাঠিচার্জ-উড়ছে পতাকা
কুশপুতুলের পুড়ন্ত হাত থেকে পামর
খসে পড়ে বাতাসে পাক খেয়ে
চোখেমুখে বিভীষিকা-জীবনের বিভীষিকা
মৃতের গন্ধ আসে নর্দমা বেয়ে …
বর্বরতা পেরিয়ে নজর ঝাপসা হয়ে আসে
ফ্যাকাসে লাশের ছবি কোথায় যেন ভাসে
ঝাঁঝালো মদের গ্লাসে
বুঝতে চাই … একমনে ছবি এঁকে
বুঝতে চাই, শব্দের ছবি
তোমার প্রতিবন্ধী ঈশ্বর বাঁচাতে পারেনি
যৌনাঙ্গে বেয়োনেটের ফলার আঘাত,
নরক তোমার বিশ্বাসের ধার ধারেনি
ছিঁড়ে নিয়েছে শরীর থেকে নরম রাত
নেকড়ে-হায়েনাদের মত!


আমি ওদের মত করে ভাবি
ভাবতে চেষ্টা করি
রাষ্ট্রের জারজ সন্তানদের মত করে
কামনার ঠিকানা শরীরী ভাষার পথ ধরে
এক পা-এক পা করে
কমে আসছে ঘন ঘন নিঃশ্বাস
ফুরিয়ে গেছে ফুরিয়ে যাওয়ার ভয়
কিংবা আমার দু’চোখে শুধুই অবিশ্বাস
আর অবিশ্বাস যে শেষ হওয়ার নয় …


বুটের আওয়াজে বিপ্লব থিতিয়ে পড়ে
টুকরো টুকরো লাল পতাকার মাঝে
অসহায় শিশুর কান্না ম্যানহোলের খাঁজে
অ্যালকোহলের উগ্র আগুন হাতড়ে
শারীরিক … কামনা … মাংসল …
করিডোরে বুটের আওয়াজ গম্ভীর,
ধ্বসে পড়বে আরো একটা নীড়
সশব্দে, যখন সবাই চলে আসবে …
সবাই চলে আসবে
আর বিস্ফারিত চোখে দেখবে
হাজারো অশ্লীল কবিতার মাঝে আমি,
মুখে লেগে থাকা অব্যক্ত হাসি বেনামী,
আর দু’হাতে দুটো চাবিখোলা গ্রেনেড …



(অবিভক্ত চেকোস্লোভাকিয়ায় নাৎসি বর্বরতার ছবি উঠে এসেছিল সাংবাদিক, কবি এবং বিপ্লবী কমিউনিস্ট জুলিয়াস ফুচিকের লেখনীর মাধ্যমে। প্রাহার প্যানক্র্যাটজ-এর গেস্টাপো বন্দীশালা থেকে লেখা তাঁর বিশ্বশান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত “Notes from the Gallows” পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে এই কবিতা লিখেছিলাম। প্রেক্ষাপট ঐতিহাসিক, বাকিটা কাল্পনিক।)