নবাবের মহল থেকে গড়িয়ে আসা
সঙ্গীতরস ভাসা ভাসা
হয়ে ভাসতে থাকে গঙ্গার
জলতলের ওপর কালকবলিত আঁধার
মাঝে নৌকার পাটাতনের ওপর পা রেখে
মাঝি অবাকবিস্ময়ে দেখে
দূর ঝাড়বাতি থেকে কেমন আলোর ফোয়ারা
ছলকে ছলকে উঠছে বঞ্চিত যারা
তাদের জীবন অপূর্ণ!
কিছু স্রোতের পালকি এসে চূর্ণ
করে যায় অঙ্কুরিত নেশার বুদবুদকে;
পশ্চিম থেকে উড়ে আসা দমকা বাতাস ত্বকে
এক অশুভ ভবিষ্যতের ছোঁয়া দিয়ে যায়,
নাকের সুড়ঙ্গে কেন ধায়
এত বেপরোয়াভাবে রাতের আসর ভেঙে যাবে,
আমোদ-প্রমোদের মসনদ শীঘ্রই রক্তাক্ত হবে-
নটরাজের জটাজালের মত মেঘের ঘনঘটা
ফিরিঙ্গি কুঠির ওপর থেকে ভাটা
নয়, ছড়িয়ে দিচ্ছে অত্যুজ্বল বিদ্যুতের জোয়ার।
অন্যদিকে বাঈজীর রূপে কামনার বাহার
দেখে হাত থেকে খসে পড়ে তাজা গোলাপ
সৌন্দর্য যেন মদিরাতে নিমজ্জিত প্রলাপ,
আতরদানে জমা হতে থাকে অন্ধ মৌতাত
সুরার পেয়ালাকে সাক্ষী রাখে ষড়যন্ত্রী আঁতাত।