আগুনে ছারখার হয়ে গেছে সব,
সেই গোলাপের পাপড়িগুলোতে রক্তের গন্ধ
তীব্রভাবে মিশে আছে।
এই কি সেই বুলবুলের গোলাপ!
তাহলে আজ ওগুলো মাটিতে ছড়িয়ে
গিয়ে আর্তনাদ করছে কেন?
ছিঁড়ে যাওয়া ওড়না কিংবা
পুড়ে যাওয়া চুড়িদারের টুকরোগুলোতে
এখনো লেগে রয়েছে নির্যাতনের হাহাকার।
বিন্দু বিন্দু চোখের জল এখনো
মিলিয়ে যায়নি নিপীড়িতা মায়ের কোল থেকে-
এই কাপুরুষের পৃথিবীতে কি দাম আছে শিল্পের?
যারা আদিমতা, বন্যতা ছাড়তে পারেনি
তাদের জন্য আবার শিল্প কেন?


শিশুটার হাত থেকে তাজা গোলাপটা
ছিনিয়ে নিল এক বদ্ধ উন্মাদ,
তারপর সিমেন্ট-বাঁধানো ফুটপাতে উবু
হয়ে বসে পকেট হাতড়ে বার করলো একটা
স্যাঁতসেতে দেশলাই; গোলাপটা পুড়ছে-
অন্তহীন রোষের আগুন নেভেনা কোনোদিন!
মানুষ বলা হয় যাদের তারা দাঁড়িয়ে দেখছে,
পয়সা লাগবেনা বলে।
ওরা দেখতে ভালোবাসে, আহা, শিল্পী মানুষের দল,
নাকি পাশবিক ফানুসের ঢল!
শত্রুকে যখন গরম-লাল লোহার রড
পেটে ঢুকিয়ে মারা যাবেনা তখন নিজেকে
তড়পে তড়পে শেষ করাই ভালো;
আগুনে ছারখার হয়ে যাচ্ছে সব!