তারপর থেকে যতবার দেবরাজদা’র বাড়িতে গেছি
অবাক হয়ে দেখেছি অতলনয়না শাল্মলীকে,
মনের কোণে কোথাও কিছু একটা জমছিল
সেটা ভালোবাসা কিনা বলতে পারবো না
তবে প্রতিবার ওর সাথে কথা বলতে চাওয়া
নানান অজুহাত আঁধার মাঠেই মারা যেত।


হায়, জীবনের সেই কয়েকটা সেকেন্ড
যখন সে চায়ের ট্রে হাতে ঘরে ঢুকতো,
আর সেটা নামিয়ে রেখে চলে যেত নীরবে!


আসরে কারোর মুখে শুনেছিলাম একদিন
পড়াশোনায় আগ্রহ-বুদ্ধি সত্ত্বেও
আর্থিক কারণে ওকে পরিচারিকা হতে হয়েছিল,
সেসব বিষয়ে বহু কথা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু
এক সন্ধ্যায় ফেরার চৌকাঠে নীরবতা ভাঙলো,
“আপনিও কি কবিতা লিখেন?”