সেবার ফাগুনের পর থেকে আর
দেখা হয়নি শাল্মলীর সাথে,
কাউকে জিজ্ঞেসও করতে পারিনি ওর কথা,
ভেতরটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে
গুমরে উঠতো বারবার যখন চোখে
জানালার কিনারা সরিয়ে আসতো।


ভেবেছিলাম ভুলে যাবো সব স্মৃতি,
সব কথা-সব ছবি ধীর ব্যস্ততায়,
লিখবো না কবিতা আর ওকে নিয়ে!


সেদিন আসরে দেবরাজদা ঘরে ঢুকলো
হাতে একটা লাল রঙের খাতা নিয়ে,
সেটা নামিয়ে রেখে ধীরলয়ে বললো,
“মেয়েটা গ্রামের বাড়ি গেছিল অসময়ে,
লুকানো কবিতার খাতাটা নিয়ে যায়নি;
আর সে ফিরবে না কোনোদিনও …”