খুব বেশি যত্ন করে
কথাগুলোকে সাজিয়ে রেখেছিলাম।
একটির পর একটি গল্পের মতো।
অথবা কবিগণ যেভাবে নন্দনবাক্য সাজিয়ে রাখেন
পাঠকের হৃদয় হরণ করতে
হৃদয় কান্তারে ঝড় তুলতে
আবেগের সাগরে জোয়ার আনতে
ঠিক সেই ভাবে বিশেষ কৌশলে
সাজিয়ে রেখেছিলাম সেই কথাগুলো।
ভেবেছিলাম এইবার মায়াবতী
চোখের ভাষা বুঝে নেবে
মনের কথা বুঝে নেবে ঠিক।
আমার চোখের দিকে একটানা তাকিয়ে থাকবে।
ভালবাসার চীরন্তণী সুধামিশ্রিত সেই কথাটি বলবে।
শুনে আমার হৃদয়ে ঝড় উঠবে
কবিতার বাসন্তি পাখিরা একমাথে সহস্রতানে গেয়ে উঠবে।
হৃদয় ময়ুরী নেচে উঠবে মহা আনন্দে।
যে কথা শুনে
চিৎকার করে সবাইকে বলতে ইচ্ছে করবে, “ আমিই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্রাট”।
যখন আমরা মুখোমুখি হলাম
সেই মাহেন্দ্র সময়ে
আবেগের বণ্যা এলো হৃদয়ে
ভাষা প্রকাশের সমস্ত পথ অবরুদ্ধ হয়ে গেল নিমেষেই
কম্পিত হৃদয়ে অবরুদ্ধ মুখে কেবলি মনে হচ্ছিল
কি বলি, কি ভাবে বলি সেই কথা।
কিছু বলার আগেই সব কথা এলোমেলো হয়ে গেল
কিছুই বলা হলো না আর।
দু এক মিনিটের চোখের বিনিময় কেবল।
তারপর সে চলে গেল দ্রুত পায়ে
অন্যের নজরে পরার আশঙ্কায়।
তখনই  উল্টে গেল পৃথিবীটা যেন।
নিজেকে সবচেয়ে নিঃস্ব মনে হলো।
বুঝলাম,
আজ সবকিছু পেয়ে সবকিছু হারালাম
তারপর
নিজেকে ধিক্কার জানানোর পালা।
নিজেকে লক্ষ কোটিবার প্রশ্ন করি
কেন মন তুই বলতে পারলি না কিছুই
কেন পারলি না।
৫০/১৪