বহুদিন পরে যাচ্ছি আজকে পল্লী মায়ের ঘরে
হাটছি আমি যে গাঁয়ের এ পথে আজ বহুদিন পরে।
যতই দেখছি ততই দিচ্ছে হৃদয়‌মধ্যে দোলা
গাছ গাছালি, পাখ পাখালির এই যে মিলন মেলা
ওখানে আমাকে আরো বেশি টানে ছোট্ট বেলার ভোলা।
মাও নাই ওর ছোট্ট বেলায় ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে        
ঐ দূর পরপারে
বাপ যায় দুরে ঐ শহরে মজুরির কাজ করে
সৎ মাও ওকে কিছু‌তে সইতে  না রে।
এখানে ওখানে যেখানই যাই সেই ছিল সহচর
সাঁতার কাটার, ঘুড়ি ওড়াবার, গাছে উঠবার কাজে
সেই ছিল গুরু, সেই ছিল বেশি কাজী
ওর সাথে ঘুরে, কাঁটতো আমার নিত্য দু'এক প্রহর।
মনে মনে তাই নকশাটা আঁকি বুকের স্বপ্ন চিড়ে
পড়াশুনো নাই, স্কুল ছুটি এই যে মজার বেলা
এই ছুটি আজ সার্থক হবে ওর সাথে ঘুরে ফিরে।
এইসব কিছু ভাবতে ভাবতে বাড়ির নিকটে এসে
দেখলাম এক নতুন কবর দু'চার দিনের হবে
এক নিমেষেই থমকে গেলাম শেষে।
দবির চাচাটা ওখানেই ছিল গরুকে দিচ্ছে ঘাস
আমাকে দেখেই হাত বাড়িয়ে কাছে ডেকে নিয়ে বলে
"ওই খানে দ্যাখ তোর সেই ভোলা কয়দিন হলো আজ,
মাটির মধ্যে করছে সে বসবাস"।
২৭/৪