আমাদের এই শহরের ছুটে চলা লোকেরা
যারা বেঁচে আছে এখনো জৈবিক নিয়মে
হয়তো তারা এখনো স্বপ্ন দেখে
অবারিত স্বপ্ন, ডিজিটাল স্বপ্ন।
অথচ তারা জোসনা প্লাবনে ভাসে না আর
তারা পাখির গান শুনতে ভুলে গেছে।
অভিমানি জোনাকিরা আসে না এখানে আর
তারা ভগ্নহৃদয়ে ফিরে চলে গেছে
বহুদূরে।
ব্যস্তনগরের কৃত্রিমসুখবিলাসী নাগরিকেরা মৃত্তিকার স্নেহধন্য ঘাসের উপরে বসে
গল্প করতে ভুলে গেছে অনেক আগেই।
তারা ভুলে গেছে সেই সপ্তর্ষিমন্ডলের প্রাকৃতিক শিল্পকর্মের লীলা।
তারা দেখেনি কতদিন ধ্রুবতারা আর সুকতারাদের বিষ্মিত চেয়ে থাকা।
কি করে তারা সুখি হবে
কি করে তাদের আত্না পরিতৃপ্ত হবে
কি করে তাদের হৃদপিন্ড স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পাবে?
অথচ তারা বৃষ্টিজলে গা ভেজায়নি কতদিন।
আমাকে বরং এই শহর থেকে নিয়ে চলো বহুদূরে
আমি ঐ গাঁয়ের কাঁচা রাস্তাটার পাশ দিয়ে
শিশির ভেঁজানো দুর্বাঘাসের উপর দিয়ে
উলঙ্গ পায়ে হেটে বেড়াবো সারাদিন।
ওখানে আছে নিসর্গের স্বর্গীয় সুধা
আমি সেই সুধা পান করে পরিপুষ্ট হবো
পরিপূর্ণ হবো।
অথবা যদি পারো
এই সবমহাজাগতিক চিরায়ত শিল্পকর্ম
এখানে নিয়ে এসো
আমার কাছাকাছি
খুব কাছাকাছি আমার।
বাস্তবে যদি না পারো কোনদিন
তবে আমাকে স্বপ্ন দেখাও।
৪৮/৭