ব্যর্থ কবিগিড়ি
শরীফ আহমাদ।


কত আর কথা ছিঁড়ি হয় না যে কবিগিড়ি
কত আর খুঁজে ফিরি মন মত শব্দ
শব্দের বন্যা কবিদের আঙ্গিণায়
সাঁতারটা আজোবধি হয় নাই রপ্ত।
শব্দ খুঁজেই মরি নাই দিন রাত্রি
দিন,মাস কখন যে হয়ে যায় অব্দ
কথাটার মাথা টানি বাড়ে শুধু হয়রানি
শেষটায় হয়ে যাই একেবারে জব্দ।
শব্দের স্রোতে ভাসি,এই মরি এই বাঁচি
এই বুঝি ডুবে যাই বেঁচে থাকা শক্ত
একা একা পথ চলা হয় না যে কিছু বলা
আশে পাশে খুঁজে ফিরি দুই চার ভক্ত।
আজ যায় কাল যায় শব্দ শুধু পালায়
ক্ষোভে, দুখে বুকটায় গড়ে পরে রক্ত
সময় যে চলে যায়, এখনো তো মেটে নাই
কোন মতে কবি হওয়া এই ছিল শখতো।
লজ্বার মাথা খেয়ে কলমটা হাতে নিয়ে
বসে থাকি এক দিলে ভাব যদি কিছু মিলে
উঁকি দিলে কিছুটা ধরি তার পিছুটা
ভাষাটা হারাই শেষে মরি শুধু তিলে তিলে।
একা একা বসে থাকি কবিতার ছবি আঁকি
সময় চলেই যায় কবি হওয়া যায় না
মাঝে মাঝে একা একা তবুও স্বপ্ন দেখা
অবুঝ শিশুর মতো মন ধরে বায়না
দুই চার কথা লিখি হলো তবে কবিতা কি!
আসে পাশে দেখি না যে এক দুই লোক তো
বসে আছি কোন ঘোরে মাথা দিয়ে ঘাম ঝরে
এতো দিনে বুঝলাম কবি হওয়া শক্ত।
এরপর নাই বাকি কাজটায় ডুবে থাকি
ভূলে যদি থাকা যায় "কবি হওয়া" শোকটা
মনে মনে খুশি হই হাসি মুখে কথা কই
আর বুঝি বাকি নাই পুরাতন রোগটা।
কবিদের গানে গানে, পাখিদের কলতানে
আজো কেন বুকে হানে কবি হওয়া ঝোকটা
কথাকলি দূরে থাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে
আসলে মূর্খ আমি বেশরম লোকটা।


১১/৩৬