বহুবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি মেঘের দিকে
কত সকাল, কত দুপুর,
বিকেল ও সন্ধ্যা গড়িয়ে দিয়েছি অনায়াসে।
অতঃপর স্পর্শ করেছি পরিশুদ্ধ অন্ধকার।
মেঘমতির বৃষ্টিকন্যার জলে ভিজব বলে
কল্পনায় স্বপ্নসুখের ভেলায় ভাসবো বলে।
একটি দিনও এই তপ্ত তনুর শিরাগুলো
ভেজাতে পারিনি,
অবগাহন করতে পারিনি
মায়াবী জলে।
অভিমানি চোখে যখন দুচার ফোঁটা বৃষ্টি নামবে
ঠিক তখনি মেঘের দেবতা আড়াল থেকে
উঁকি দিয়ে বলল,
কেমন ছেলে তুমি, বুঝো না কিছুই।
আমরা যে আকাশের অধিবাসী
মাটিতে নামবো কি করে?
তারচে বরং বৃষ্টি মেয়েকে পাঠালাম তোমার জন্য।
তখনি নামলো অঝোর ধারায় বৃষ্টি।
আমি বৃষ্টি মেয়ের জলে অবগাহন করলাম দিনভর।
মনে মনে বললাম” মেঘ ছুতে পারিনি তো কি হয়েছে।
মেঘের মেয়ে বৃষ্টিকেতো ছুঁয়েছি।
ইচ্ছেমতো।
৪৮/৫