একটি মেয়ের নাম যে ছিল শাজিয়া
নিজেকে সে রাখত সদাই সাঁজিয়া।
বান্ধবী এক ছিল যে তার, রাজিয়া
মাঝে মধ্যে লাগত তাদের কাযিয়া।
শাজিয়াটার সাহস ছিল অনেকখানিই কম
ঝগড়াঝাটির উল্টোপিঠেই থাকত সে হরদম।
ভুলটা বুঝে ঝগড়া যদি কখনো হয় শুরু
শাজি'ই বলে "ভুল হয়েছে মাফ করে দাও গুরু"।
শাজিয়াটা মাথায় ছিল অনেকখানিই বড়
অংক এবং ইংরেজীতে অনেক ঝরোঝরো।
মাঝে মধ্যে দু'জন মিলে পড়ার ঘরে বসে
দুইটা মাথা একটি করে হিসেব নিকেশ কষে।
শাজি বলে শতকরাটার মানে, "একশোতে"
রাজির মাথায় কোথ্থকে এক মহারাগ জোটে।
একশো মানে একশোই তো বোঁঝার কি আছে
এ সব ছেড়ে আয়তো এখন যাই ভগ্নাংশে।
শাজি তখন উল্টো রাগে বলে, আমি উঠলাম
রাজি বলে, "মাফ করে দে, এই কান ধরলাম"।
এই না বলে শাজিয়াকে দু'হাত দিয়ে বাঁধায়
বলে এখন পড়ালেখা ঢুকবে না আর মাথায়।
তার চেয়ে চল দু'জন মিলে খেলি দাবা, কেরাম
পড়ায় না হোক খেলায় আমায় পায়ে দিবি সেলাম।
শাজি তখন ভিষণ রাগে জুড়িয়ে দেয় কান্না
বলে, "আড়ি তোর সাথে যে কোন কথাই আর না"।
এই জীবনে তোর সাথে আর হবে না রে কথা
সামনে থেকে এক্ষুনি তুই দুর হয়ে যা কোথা।
মুচকি হেসে রাজি বলে ওহে গুরু আমার
পাওটা দে না সালাম করি, সত্যি আমি চামার।
তুই ছারা আর বন্ধু আমার কে বলতো আছে?
বুকের মাঝে এক্ষুণি তুই টেনে নে ভাই কাছে।
তখন থেকে ওদের মধ্যে মিলটা বেশি আরো
কথায় কোন অমিল হলে বলে, "আবারো?"।



ছ।১/১১