মনে মনে ভেবেছিলেম
আজকের বিকেলটা হবে, কবিতা বিকেল।
মনের শুকনো তুলিটাতে
ভাবনার স্বপ্নমিশ্রিত রঙধনু রঙ মেশালাম খানিক।
তারপর সেই পুরোনো পুকুরটার
শানবাঁধানো ঘাটের সিঁড়ির উপরের দিকটায় বসলাম।
মাথার উপর বাবলা গাছের প্রশ্বস্ত শাখা বিছানো।
স্বচ্ছ পানির মাছেরা অনেকটা কাছে আসল।
পানির উপরে চোখ দুটো বের করে বলল,
“কি হবে ওসব ছাইপাশ কবিতা লিখে
তার চে' বরং এসো গল্প করি”।
হলুদ রঙের লম্বা লেজওয়ালা পাখিটা
মাথার কাছাকাছি এসে বসল।
তারপর লেজ নাড়তে লাগলো।
বলল,
“কবিতা লিখে কিছু লাভ হবে না কবি।
তার চে বরং তোমার জীবনের গল্প বল”।
বাধ্য হয়ে গল্পের ঝুলিতে হাত দিলাম।
দেখলাম গল্পের পাতাগুলো অনেকটা বিবর্ণ হয়ে গেছে অনাদরে।
ভাবলাম কত বন্ধু কত আপনজনই তো আছে এই জীবনে
কেউতো কখনো গল্পশুনতে চাইলো না
আমার জীবনের।
ওদের অনেক ধন্যবাদ দিলাম।
ওরা না বললে গল্পের পুরোনো  ছেঁড়া পাতাগুলো
হয়তো হারিয়েই যেতো চিরতরে।
বুঝলাম ওরাই আমার সত্যিকার বন্ধু।
গল্প যখন শুরু করলাম
অবাক হয়ে দেখলাম,
ওরা তন্ময় হয়ে শুনছে আমার গল্পগুলো।
ভাবলাম,
গল্পগুলো তো আমার জীবনের
তবুও ওরা এতো মনোযোগ দিয়ে শুনছে কেন?
তাহলে এই সব গল্পের মধ্যে হরেক রকমের
সাহিত্য রস আছে নিশ্চিত।
শেষমেষ আমার কবিতা বিকেল হলো না আর।
শুধু গল্পই হলো আজ।
তাই আজকের বিকেলটার নাম দিলাম
“ গল্পের বিকেল”।
৪৯/৮