ইতিহাসের ভ্রষ্ট পথচারি


ও বিজন প্রান্তরের পথে পথে আমি
খুঁজিয়া চলেছি কারে বহু যুগ ধরে
হয়তোবা যুগ নয়, যুগ যুগ হবে
কয়েক শতক কিবা সহস্রাব্দিও হতে পারে।
হয়ত তাহাও নয় মহাকাল থেকে
ছিটকে পড়া আমি এক অনাসৃষ্টি কিছু।
মনে আজ কিছু নাই জীবনের শুরু ছিল কবে।
খুঁজিয়া চলেছি শুধু ক্লান্ত পথিক আমি এক
কালের অবোধ এই শিশু
পথ আছে লক্ষ্য নাই কিছু।
হয়তো পথিক নয় অশরীরী কোন এক প্রেতাত্না বিশেষ!
শষ্যহীন, মরুময় কোন এক প্রান্তরের প‌থে
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দায়ে
আমি অবশেষ।
আমার সিংহাসন কোথায় রয়েছে আজ
কোথায় সে সিংহমানব?
সে কি আজ স্বপ্নক্লিষ্ট?
জীবনের মোহমায়া ঘিরে আছে সব?
ঐ যে সিংহাসন ওর গায়ে লেগে আছে
এক নদী পরিমান রক্তের দাগ
ওর বুকে জেগে আছে একটি ঝড়ের মতো বড় দীর্ঘশ্বাস।
ওর গায়ে ছুঁয়ে আছে কত শোক, কত মৃত্যু আর কত ক্ষয়
ওর চোখে আজো ঝরে এক বরষার মত কান্নার ঢেউ  আর শুধু লেখা আছে জয় পরাজয়।
আমার রাজ‌‌‌্য কই? কোথায় সে মহারাজা?
কোথায় তাঁহার বসবাস?
আমার আস্তাবল, প্রিয় অশ্ব, আর সেই
কোথায় সে বীর সেনাপতি,
কোষমুক্ত তলোয়ার, সামন্ত কোথায় আর?
সবাই আমার সাথে করছে প্রহাস।
আমার প্রজারা কই, আমার রাজ্য আজ নাই
রাজকণ্যা, রাজরানী, রাজপুত্র, দূর্গ নাই
এখন আমিও কিছু নই।
দাসদাসি কোতয়াল, মণিমুক্তো,রাজকোষ,
এখন আমার কাছে আর কিছু নাই।
ইতিহাস থে‌কে  আমি ভূল ক‌রে প‌থে না‌মিয়া‌ছি
ইতিহাসের নষ্ট পাতায়
ব‌ন্দি ছিলাম আমি সুদীর্ঘকাল
আজ আমি ভ্রষ্ট পথিক
ইতিহাস বই থেকে পালিয়েছি সেই কোন কালে!
আজ তার মনে নাই ঠিক।
১/৩৭....