জল্লা‌দের জ‌ন‌‌্য খোলা চি‌ঠি


ওহে জল্লাদ, বন্ধু আমার তোমার জন্য চিঠি
তোমার জন্য প্রশ্ন আমার কিছু,
এইবার সেটা মনযোগ দিয়ে শোন
তোমার হাতের তাম্রপেশীতে রক্তের জাল বোনো?
তোমার চোখের অগ্নিগিরিতে কত যে মৃত্যুলেখা
তোমার বুকের লোমশ বনেতে কবরের ফাঁদ আনো।
তাতে কোন ক্ষতি নাই
আইন যেখানে ন্যায়ের ধারক, তুমিও ন্যায়ের ভাই।
ন্যায়ের জন্য তোমার দু চোখ হয়েছে রক্তলাল
ন্যায়ের তাগিদে আজকে তোমার হৃদয় টালমাটাল।
অপরাধী সে যেই হোক নাকো গরিব অথবা ধনি
অপরাধী সে যত বড় হোক মূর্খ অথবা জ্ঞাণি।
অপরাধী হোক সমাজের নেতা বিশাল কর্ণধার
খলনায়ক বা হোক সে নায়ক কিবা আসে যায় কার?
তোমার দুচোখে অপরাধী নয় অপরাধ হলো বড়
অপরাধ জেনে তোমার হাতের ফাঁসির রশিটি ধরো।
অপরাধী হয় কখনও যদিবা তোমার বন্ধুবর
অপরাধী যদি কখনও হয়বা তোমার পুত্রধর।
অপরাধী যদি কখনবা হয় তোমার ভগ্নি, ভাই
অপরাধী যদি কখনবা হয় প্রিয়তমা, ক্ষতি নাই।
এখন তোমার হাতের রশিটি থাকবে কি আর শক্ত
এখন তোমার ললাটে চক্ষে ফুটবে কি আর রক্ত।
জেনে রাখো আজ তাই
কত অপরাধী প্রাণ দিল যারা তাদেরও রয়েছে ভাই।
তাদেরও রয়েছে পুত্র, কণ্যা,ভগ্নি অথবা প্রিয়
তাদের পক্ষে মৃত্যুর আগে ক্ষমাটুকু চেয়ে নিও।
শোন জল্লাদ ভাই
ন্যায়ের পতাকা উপরে রাখতে আর অজুহাত নাই।
এখন তোমার হাতের রশিটি শক্ত করেই ধরো
সত্য এবং ন্যায়ের জন্য হাতটি ভিষণ করো।
তবে হবে তুমি সত্য মানুষ, সত্যের নাই ক্ষয়
পৃথিবীর বুকে তুমি হয়ে রবে অক্ষয়, অব্যয়।।


( জল্লাদ বলতে বিচারের প্রতিক)
৮/১১...।১৫