জীবনেরই খেলা ভেঙ্গে যাবে
এ স্বপন ধুলায় লুটাবে।
আসবে না জীবনে সে আর
ঘুঁচবে না অকুল অাঁধার।
এ জীবন পথেই হারাবে
জীবনেরই খেলা ভেঙ্গে যাবে।
এই তরি পাবেনা তো কুল
এ নয়ন কেঁদে কেঁদে হবে আকুল।
গাইবে না ফাগুণে আবার
এই পাখি সুদিনে আমার।
ঝরা ফুল ধুলায় গড়াবে
জীবনেরই খেলা ভেঙ্গে যাবে।
                     ২


যে গানে হৃদয়ের পাখিরা গায় না
তারে কি গান বলা যায়?
যে গানে দুই চোখে জল উঁকি দেয় না
তারে কি গান বলা যায়?
যে গানে জীবনের স্বপ্নেরা আসে যায়
যে গানে মানুষের ব্যথাটুকু কথা কয়
সেই গান চীর দিন হৃদয়েতে রয়ে যায়
যে গানে হৃদয়ের পাখিরা গায় না তারে কি গান বলা যায়?
যে সুরে জীবনের দীক্ষাটা হয় না
সেই সুর মানুষের হৃদয়েতে রয় না।
যেই সুরে শিশুদের কান্নাটা ক্ষয়ে যায়
কুহু আর কোকিলের মায়াটুকু বয়ে যায়
সেই সুর পৃথিবীতে চীরদিন রয়ে যায়।
যে গানে হৃদয়ের পাখিরা গায় না
তারে কি গান বলা যায়?
যে গানে দুই চোখে জল উঁকি দেয় না
তারে কি গান বলা যায়?



এ জীবনে এই হাসি জানিতো ফুরাবে
সকলি হারাবে।
এই গান এই সুর জানি শেষ হবে
রেশ টুকু রবে।
এ মধুর স্বপন জানি ভেঙ্গে যাবে
এ মধুর বাশরি জানি থেমে যাবে
এই চোখে এই কথা জানিতো হারাবে
ব্যথাটুকু রবে।
এ জীবনে এই হাসি জানিতো ফুরাবে
সকলি হারাবে।
                      ৪
এ জীবনে আর কভূ হবে কি দেখা
এই মধু সন্ধ্যায়, দাও তুমি বিদায়
এই বুঝি ভাগ্যলেখা।
এ জীবনে আর কভূ হবে কি দেখা।
হাতটুকু রেখো না হাতে
যেতে হবে অজানা পথে
চোখে আর এঁকো না মায়াবী রেখা
এ জীবনে আর কভূ হবে কি দেখা।
যদি আর এ জীবনে দেখা না হয়
ভূলে যেও দুজনের ছিল পরিচয়।
ভূলে যেও মধুর স্মৃতি
ক্ষণিকের আমি অতিথী।
জীবনের পথে আমি চলি একা।
এ জীবনে আর কভূ হবে দেখা।
........।
এই বুঝি ভাগ্যলেখা?
        (সঙ্গিতে রূপায়িত।)
          শরীফ আহমাদ।