যদি আমার একটি পুকুর থাকতো
আমার আঙ্গিনার শিয়রে
হৃদয়ের আপেক্ষিক আয়তনের।
পুকুরের চারপাশে ঘনসন্নিবিষ্ট ছায়াঘন মায়াবী গাছের সারি।
সময় হলেই পুকুরের পারে হেটে বেড়াতাম
সে আর আমি পাশাপাশি থাকতাম
খুব কাছাকাছি।
চলার পথে গাছের শাখায় পাখিরা গান ধরতো
পায়ের নীচে শুকনো পাতার বাদ্য বাজতো।
কোন দিন
ইচ্ছে হলেই ছুটে আসতাম সেই পুকুরের কাছে
সাঁতার কাটতাম ইচ্ছেমত
গা ভাসিয়ে দিতাম পুকুরের জলে
পুকুরের অথৈ জলে ডুব দিতাম যখন তখন।
পুকুরের গহীণ জলে শুয়ে স্বপ্ন দেখতাম।
অথবা
কোন কোনদিন পুকুরের কাছে গিয়ে দাড়াতাম
গহীণ জলের মায়ায় তাকিয়ে থাকতাম একদৃষ্টিতে।
পুকুরের ছোট ছোট ঢেউ গুলোকে
নিজের হৃদয়ের স্পন্দনের সঙ্গে মিলিয়ে নিতাম।
কোন কোনদিন
পুকুরের শানবাঁধানো ঘাটে গিয়ে বসতাম
গল্প করতাম তার সাথে
আমাদের জীবনের গল্প।
আমাদের হৃদয়ের গল্প।
আমাদের স্বপ্নের কথা বলতাম।
বলতে বলতে দিবাস্বপ্নের নদীর জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিতাম।
কোন কোন দিন
পুকুরের কাছে গিয়ে নালিশ করতাম।
অভিমান করতাম।
স্বপ্নের পাতায় নির্মীত কাগজের নৌকোটাকে
পুকুরে ভাসিয়ে দিতাম।
তারপর কালের বাতাসে দুলতে দুলতে নৌকোটা যখন
দৃষ্টির আড়ালে চলে যাবে
তখন চোখ থেকে গড়িয়ে পরবে জল।
তারপর সন্ধ্যার আঁধারে যখন সবকিছু ঢেকে যাবে
তখন ধীর পায়ে ফিরে যাবো ঘরে।
নিজের অলক্ষ্যেই হয়তো
একটি কথা বের হয়ে আসবে মুখ থেকে।
“জীবন কেন এমন”।
৪৯/৩৬