আমি এই ক্ষতচিহ্ন নিয়ে কোথায় যাবো
কার কাছে বলবো এই গড়িয়ে পরা ফোঁটা ফোঁটা রক্তের ইতিহাস
যেখান থেকে টপটপ করে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত
যে ক্ষত সাড়িয়ে তোলার কোন এন্টিবায়োটিক নাই কোথাও,
যে ব্যথা সরিয়ে রাখার কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা নাই কোন,
যে ক্ষত শুকিয়ে তোলার,
কোন ব্যবস্থাপত্র নাই
যে প্রবাহমান রক্ত থামিয়ে রাখার নাই কোন প্রতিষেধক,
নাই কোন উপযুক্ত ব্যান্ডেজ, নাই কোন নন্দিত কোমল করকমল।
কে দেবে এই অন্তর্ঘাতজনিত  অগ্নিস্ফূলিঙ্গসৃষ্ট লালচেগাত্রদাহের সুবিবেচনাপ্রসূত ব্যবস্থাপত্র।
এখানে শুধুই বিরামহীণ ছুটে চলা,
এখানে শুধুই ছলচাতুরি,
কেবলই অজুহাত।
জানি আমি
এখানে জ্ঞানি ব্যক্তির সংখ্যা অনেক
সমাজে মহৎ ব্যক্তির সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।
কিন্তু তাদেরওতো পরিবার আছে,
বিবিবাচ্চা আছে,আত্নিয়তা আছে,
ভবিশ্যতের চিন্তা আছে,
আত্ননিরাপত্তার বিষয়তো আছেই।
তাহলে?
সবাই যখন প্রায় একশতভাগ সংসারী
সবাই যখন স্বার্থের বিষয়ে অতিমাত্রায় আত্নসচেতন
তখন এই পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে ভাবনার সময় কোথায়?
কারন সবারই তো সংসার আছে।
সবাই ভিষণ ব্যস্ত,
মহাব্যস্ত।
৪৬/৩৪