১।


ওরে পাগল ওরে পাগল
কোনখানেতে ভূল করে তুই বেঁধেছিলি বাসা
কোন ভূলে আজ সব হারালি, হারালি সব আশা
ওরে পাগল ওরে পাগল।
কোন যাতনা বুকে রেখে হাসো অকারনে
কেউ বোঁঝে না হাসির পিছে দুঃখ কত মনে।
তাই তোর হাসি আর দুঃখে সবার ব্যঙ্গ কোলাহল
ওরে পাগল ওরে পাগল।
স্বজন তোমার কোথায় আছে আরতো মনে নাই
ভুল করে আজ সব হারিয়ে পথেই হল ঠাঁই।
আপন জনের খোঁজে সবাই চলে ঘরের পানে
তোমার বসত নির্জনে আজ অন্ধকারের টানে।
জীবনেরই মায়ায় সবাই ছোঁটে অবিরল।
ওরে পাগল ওরে পাগল।


                  ২।
বুকেরো ভিতরে বান্ধিয়া রাখিব
পলাইয়া যেতে দিব না,
তোমায় আমি আর কোন দিন হারাইয়া যেতে দিব না।
একবার শুধু বসো রে পাখি আমার কলিজায়
তোমায় আমি বান্ধিয়া রাখিবো সোনার পিঞ্জিরায়ায়
আদর করিবো যতন করিবো ছাড়াইয়া যেতে দিব না
তোমায় আমি আর কোনন দিন হারাইয়া যেতে দিব না
বাবুই পাখির বাসায় তোমায় রাখিবো যতনে
মায়ার গীতি শোনাব তোমায় ভোলাব আনমনে
বসন পাতিয়া শোয়াইব তোমারে ভোলাইয়া যেতে দিব না
তোমায় আমি আর কোন দিন হারাইয়া যেতে দিব না।
আদর করিয়া মুখেতে তুলিয়া খাওয়াবো তোমারে
চোখের পানি মুছিয়া দিব ভোলাবো আনমনে
খিরকি খুলিয়া জানালা কাটিয়া উড়াইয়া যেতে দিব না
তোমায় আমি আর কোন দিন হারাইয়া যেতে দিব না।
                      ৩।
অন্তরে আছোরে তুমি অন্তরেতে বসিয়া
মনের সুখে হাসো কেন চোখের জলে ভাসিয়া।
হৃদয় মাঝে বসে তুমি সুখে কাঁটাও দিন
আঁচর টেনে রক্ত আনো সুখের বাড়াও ঋন
আঁচর টেনে ছবি আঁকো বুকটা যে যায় খসিয়া।
অন্তরে আছোরে তুমি অন্তরেতে বসিয়া।
বুকের ভেতর বসে তুমি বাসর সাঁজাও রাত আর দিন।
অকারনে ভেঙ্গে ফেলো বাসর ঘরের সব রঙ্গিণ।
যুগটা ধরে বানাও তুমি এই যে সুখের ঘর
একটু ভূলেই অভিমানে বুকটা কর পর।
জীবন খুরে কবর বানাও বুকটা যে যায় ধ্বসিয়া।
অন্তরে আছোরে তুমি অন্তরেতে বসিয়া...।
(কবিতা থেকে লোকসঙ্গিত)
                         শরীফ আহমাদ।
স.....