বড় কষ্ঠ পেলো আজ মায়াবতী মহুয়ার মন
যেই মনে ছিল শুধু চঞ্চল, গতিময় জলের প্লাবণ।
মমতার জলধারা উছলিয়া উঠিত যে সেই জলাধারে
সে জলের গতিধারা স্বচ্ছ, পবিত্রময় করুণার ভারে।


দুর্দান্ত খরতায় আজ তারর মুখ হল কালো
বিরামবিহীণ কোন চৈত্রের মরুতায় মমতার জল শুকালো।
তাহার দীঘির জল এখন স্বপ্ন শুধু দুঃখের প্রশ্বাস
মরুময়তার মতো বয়ে যায় সারাক্ষণ সুদীর্ঘশ্বাস।


হায় তুমি মায়াবতী! কোথায় তোমার সেই মমতার ঢল
কোথায় হারালো সেই চঞ্চল ঝরনার জীবন উছল?
এখন তোমার ঘরে আলো নাই, রৌদ্র নাই,আলেয়ার চিহ্নটুকু নাই
সুগভীর অন্ধকারে ডুবে গেলে তুমি কেনো, কোন হতাশায়?


এখন তাহার বুক বৃক্ষহীণ যেন এক ধু ধু বালুচর
তাহার যুগল চোখ প্রাচিণ সভ্যতার মায়াবী নগর।।