তুমি এক অস্পষ্ট বহুধাবোধক কবিতা
দুর্বোধ্যতার জটিল অলন্করণে আবৃত তুমি আপদমস্তক।
কোমল ও কড়ির দ্বিধান্বিত মায়াবী অক্ষরবিন্যাসে
দিবসপ্রান্তের আলোআঁধারির মোহণীয় রূপে তুমি
আমার আসনে দিব্যি বসে আছো সম্রাজ্ঞির মতো
অথচ তোমাকে পড়তে গেলেই
তুমি হারিয়ে যাও অলক্ষ্যে অলকে
মাথাটা ভিতরের স্নায়ুরজ্বুসমূহ চক্কর দিয়ে ওঠে কেবল
নৈরাশ্যিকপ্রেমপ্রস্তরের হৃদয়ক্ষরণে আহত হয়ে যাই।
অথচ তুমি কতই নির্বিকার।
তোমার স্বর্গীয় ইন্দ্ররূপের ঐন্দ্রজালিক ইশারায়
আমি ছুটে যাই সিজোফ্রেনিক সত্বার মতো
অথচ
কাছে গেলেই তোমাকে হারিয়ে ফেলি।
তুমি উধাও হয়ে যাও
তুমি পরাজগতের অধীত কল্পনায় পালিয়ে বেড়াও।
তুমিই সেই মায়াবিণী
অপরূপা কবিতা মেয়ে।
অরূপা,স্বরূপা মোহিণীবদনা।
আমার মধ্যে বিরাজিত
তুমিই সেই দুষ্পাঠ্য কবিতা আমার
তুমি অন্যরূপা,
তুমি বহুরূপা।
৪৭/৩৫