বুকের পাঁজরে লিখেছো যাহার নাম
কষ্ঠের ভার বহিল যে অবিরাম
মুক্তি নিশান যাহারা দিয়েছে তুলে
তোমরা তাদের যেওনা বন্ধু ভূলে।


যাহারা ভয়াল রাতের অন্ধকারে
মৃত্যু শপথ নিয়েছে রূদ্ধ দ্বারে
যুগের লিপিকা মুছে যদি যায় তবু
ভূলিয়া যেওনা তোমরা তাদের কভূ।


তাম্রবাহুতে বহিল রক্ত ধারা
ভেঙ্গেছে পাঁজর তবুও অটল তারা।
তাদের মহান দানের হয় কি তুলনা
তোমরা তাঁদের কোনদিন ভূল না।


রক্ত শোষক চোখেতে মুক্তি বন্দী
ভাঙ্গিতে পাঁজর যাহারা করিল ফন্দী
বুকের রক্তে রাখে যারা সযতনে
তোমরা তাঁদের চীরদিন রেখো মনে।


ছুরি চালাইল সুপ্ত জাতীর বুকে
অশ্রু বণ্যা বহিল মৃত্যু শোকে
ভেজা দুই চোখে নিয়েছে নিশান তুলে
তোমরা কখনও যেওনা সে কথা ভূলে।


জানো কি তোমরা ওরা করেছিল ফন্দী
অসহায় জাতী রাখিবারে চীরবন্দী।
অন্ধকারের বন্ধ দুয়ারে যথা
তোমরা কখনও ভূলনাকো সেই কথা।


ভয়াল রাত্রে আর্ত জাতীর বৃষ্টি ঝরেছে চোখে
সন্তানহারা দৃষ্টি তাঁদের অটল হয়েছে শোকে
কালো চাবুকের আঘাতে রক্তে রঙ্গিণ
তোমরা ভূল না সেই কথা কোন দিন।


মায়ের ভাষা ভূলাইতে চীরকাল
ওরা পেতেছিল ষড়যন্ত্রের জাল
জীবন "তুচ্ছ"করে ডেকেছিল "মা"
তোমরা সে কথা কোন দিন ভূল না।


পরাধীনতায় কেঁদেছো রাত্রিদিন
দীর্ঘ সময় আছিলে যে ভাষাহীণ
মৃত্যুর মুখে ছিন্ন করেছে ষড়যন্ত্রের জাল
তোমরা সে কথা ভূলিও না কোন কাল।


মৃত্যু স্বপন থমথম কাল রাত
নিমেষে ভাঙ্গিল নিরবতা অকষ্মাৎ
মৃত্যু নেশায় উল্লাসে হানাদার
তোমরা সে কথা ভুলিও না কভু আর।


নিষ্ঠুর তারা যাহারা হানে আঘাত
অনড় তবুও দামাল ছেলের হাত
পরাজয় তবু মানে নি বিজয়ী বীর
তাদের স্মরনে তোমরা সকলে উঁচু রেখো সদা শির।