দুয়ারে দাড়ায়ে কেঁদেছো রাত্রিদিন
ঘুমের অঘোরে শুনেছো মায়ার বীণ
দু'হাত বদনে ঢেকে কেঁদেছিলে সবে
তোমরা চেয়েছো মুক্তি মিলবে কবে।


দুয়ারে বসেই করেছো যে চিৎকার
সারাদিনমান; তবুও খোলেনি দ্বার।
আকাশ বাতাস কেঁপেছে তোমার স্বরে
প্রতিধ্বণি তার ফিরেই এসেছে ঘরে।


ফিরে এসেছিল দীর্ঘশ্বাস খানি
ফিরে তো আসেনি তোমার মুক্তি বাণি।
দুই চোখ জুড়ে দেখেছো অন্ধকার
উপহাস করে  তোমার রূদ্ধদ্বার।


বিদ্রুপ বাণি হেণেছে প্রাচিরে আসি
বিদ্রুপ নয় এ এক দানবী হাসী।
দুয়ারে তোমার দীর্ঘশ্বাস হাণি
নিঃস্বাড় হলো তোমার কণ্ঠখাণি।


দুই কান পেতে শুনেছো কিসের ধ্বণি
নিঃশ্বাস ফেলে কোন মণিহারা ফণি।
অন্ধ এখনো মরছো কি ধুকে ধুকে
ফণির সে ধ্বণি বেজেছে তোমার বুকে।


দুই কান পেতে শুনেছো অকস্মাৎ
আকাশ জুড়ে যে ধ্বনিছে বজ্রপাত
স্তব্ধ হলোই কণ্ঠ যে কার স্বরে
সারাটি ধরণি কাঁপছে যে থরে থরে।


তোমার দু'চোখে ঝরে যে অঝোরে বৃষ্টি
বিজলি হানছে তোমায় অগ্নিদৃষ্টি।
এমনি করেই ঢলে পরলে যে ঘুমে
অসহায় মুখ রুদ্র নিয়েছে চুমে।


স্বপনে দেখছো দু'হাতে চেপেছে গলে
ছিনে নিচ্ছে যে জীবন তোমার বলে।
উম্মাদ হয়ে অন্ধক্রোসে তুমি
জেগে দেখলে যে সকলে রয়েছে ঘুমি।


বজ্রদু'হাতে হেনেছো দুয়ারে ঘাত
বাইরে এসেই দেখলে কেটেছে রাত।