সেই দিন যদি আবার আসতো ফিরে
      হাসি কান্নায়, হেলায় খেলায় আমার কাটতো বেলা
      ফেলে আসা সেই দুষ্ট স্মৃতিরা মনে্র পাতায় দিচ্ছে যে উকিঝুকি
      
      পড়ালেখা ছেড়ে, চৈত্র দুপুরে ঘুড়ি উড়ানোর খেলা।
      কত ধরনের কত যে রঙের ঘুড়ি বানানোর দিন
      মনের খাতায় হয়ে আছে রঙ্গিণ।
      বকদুল, টং, কোমড়কাটা,তেলুঙি আরো আরো কত নাম
      নাওয়া, খাওয়া ছেড়ে সাথিদের নিয়ে শুধু ঘুড়ি উড়াতাম।
      
      বাড়ির পাশের বট পাকুড়ের বিশাল গাছের ছায়ায়
      গাছের পাতারা হাত বাড়িয়ে টানতো তাদের মায়ায়।
      গরমের দিনে পাড়ার লোকেরা এই খানে ছুটে এসে
      ছেলে মেয়ে থেকে বুড়াবুড়ি যত আড্ডা দিত যে কত
      বাংলা গানের বাংলার সুরে কোথায় যেতাম ভেসে।


      দাড়িয়াবান্দা,গোল্লাছুট, আর ডাংগুলি, বউচি
      আরো আরো কত গ্রাম্য খেলায় ধুলোবালি গায়ে মেখে
      মার্বেল,গুটি,কানামাছি আর বাংলা গাঁয়ের আরো কত খেলা খেলে
      এইটুকু আজ বড় আমি হয়েছি।


      বর্ষার দিনে বাড়ির পাশের মরা নদীটার বুকে
      বণ্যার জলে হয়ে যেত ভরভর
      কলার গাছের ভুরায়(ভেলা) চড়িয়া কেটে যেত দিনভর।
      এপার ওপার সাঁতার কাটার পাল্লা হত যে কত
      সেই স্মৃতি আজ মনের খাতায় এখনও যে অক্ষত।
      বটের গাছের লতায় ঝুলিয়া পানিতে দিয়েছি লাফ
      কে কত বার লাফ দিতে পারে এই নিয়ে শুধু শুধু
      সাথিরা করতো অকারনে লাফঝাপ।


      কখনও চলতো পরের গাছের আমপাড়া অভিযান
      কখনও আবার পাখিদের বাসা খুঁজে
      ডিম পেরে আনতাম।


      লাভলি, বিউটি, বেবি, শাহানুর, ময়না,আনজু,রোজি
      সোহেল,শাহিন,জলিল,রফিক,বাবু আর রেজাউল
      আরো কত নাম, কেউ যেন নাই এখনও তাদের খুঁজি।


      ২/৩.....১৫