প্রিয় বেদনা,
তুমি আমার জীবনের বিশ্বস্ত বন্ধু।
আমার আজন্মকাল
তুমি আমাকে আগলে রেখেছো প্রতিমূহুর্ত
সুললিত, স্নেহময়ী,ছায়াদানকারী,পরিনত বটবৃক্ষের মতো।
তুমি আমার “আমি”,কে বুঝতে শিখিয়েছো
মানুষের মধ্যে মানুষকে খুঁজতে শিখিয়েছো।
তুমি বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের তপ্তখরায় আমাকে বাঁচতে শিখিয়েছো
তুমি নিপীড়িতের পক্ষে থাকতে শিখিয়েছো
সামান্য মহত্বের যতটুকু গৌরব আমার
তা শুধু তোমার জন্য
নিরেট পাহাড়ের জলন্তঅগ্নিবক্ষনিঃসৃত সীমিত সলিল ঝর্নাধারার সুললিত বহতা
সে তোমার জন্য।
ঐশ্বরিক আনন্দের মাধুরিত অলৌকিক স্বর্গীয় অনুভূতির ললিতলীলা
সে তোমার জন্য।
স্বার্থান্বেষী সুখবসন্তের নন্দিতা ললনার মতো
তুমি আমাকে ফেলে যাও নি কখনো।
নবসৃষ্টি যন্ত্রনার পরিশীলিত মন্ত্রনা
তুমি দিয়েছো অকৃপণ উদারবক্ষে
মুক্তহস্তে।
তোমার অজস্রবর্নালী স্বপ্নিল পটভূমির শিল্পীত পটে
আমার অদ্ভূত আনন্দস্রোতস্বিনীর উদ্ভবনা।
আমার অস্তিত্ববৃক্ষের অশান্ত শিকড়সমূহ
তোমার পলিযুক্তমৃত্তিকার অনেক গভীরে প্রোত্থিত।
তুমি আছো বলে
তোমার আস্রয়ে আমাকে রেখেছো বলেই
অগনিত ঝড়ের দুর্দান্তদাপটেও আমি আছি।
বারবার উপড়ে ভেঙে পরতে পরতেও
আমি টিকে আছি
ডালভাঙা বটবৃক্ষ হলেও
আমি দাঁড়িয়ে আছি ইশ্বরের সীমাহীণ  কৃপায়।
প্রিয় বেদনা আমার,
তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৪৮/৩