প্রিয় কবিতা,
তোমাকে আমার হৃদয়ের গভীরতম ভালবাসা উৎসর্গ করলাম।
জানি না তুমি কেমন আছো কবিতা
আমার বিশ্বাস তুমি মোটেই ভাল নেই।
কারন, এখনো আমাদের সমাজে মানবতার  অপুষ্ট শিশুরা বিকলাঙ্গ।
এখনো আমাদের পরিবেশ আধিপত্যবাদের  দখলে।
রক্তচোখা শক্তিপুজকরা যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে শোনায় অহরাত্র।
এখনো আমাদের চারপাশ অসুস্থ চিন্তার দুর্গন্ধময় আবর্জনার নিরাপদ বিচরণক্ষেত্র।
এখনো আমাদের শিশুরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পায় নি।
শিক্ষক নামধারী কতিপয় লম্পটের হাতে আমাদের অনেক ছাত্রীরা আজ জিম্মি।
রাস্তাঘাটে নারীরা ধর্ষিত হচ্ছে, ইভটিজিংএর শিকার হচ্ছে।
যুদ্ধদানবের বিষাক্তনখরযন্ত্রনায় নিরপরাধ নারী শিশুরা ক্ষতবিক্ষত।
নিরীহ অসহায় নাগরিক যুদ্ধশ্বাপদের হিংস্রথাবায়
আজ ছিন্নভিন্ন।
এক সময় যেখানে ছিল আনন্দমুখর মানুষের নিরাপদ আস্রয়কেন্দ্র।
এখন সেখানে বিধ্বস্ত জনপদ।
গণকবরের চিহ্ন দৃশ্যমান
যুদ্ধের বিভীষিকায় আতঙ্কিত মানুষের চোখেমুখ
যে মেয়েটি স্কুলে গিয়েছিল সে দিন বাবার হাত ধরে
সে আর কোনদিন ফিরে আসে নি তার বাসায়।
প্রিয় কবিতা আমার,
আমি জানি তুমি ভাল নেই।
কারন এখনো আমরা পৃথিবীর সমস্ত জীবাত্নার জন্য, অথবা শ্রেষ্ঠ জীবের জন্য
নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে গড়ে তুলতে পারি নি।
দিনের পর দিন সমরাস্ত্রের ভারে আমাদের ধরিত্রী দিধান্বিত,আশঙ্কিত,প্রকম্পিত।
আমি জানি না কবে এই পৃথিবী ধ্বংসাস্ত্রমুক্ত হবে।
কবে আমাদের পৃথিবী শিশুর জন্য শিশুকানন  হবে।
কবে সেই বাগানে সুরেলা পাখিরা ডেকে উঠবে সহস্রতানে।
আজ এই বিষন্নবেলায়
তোমার কথা খুব বেশী মনে হচ্ছে।
জানি না তুমি কোথায় আছো?
হয়তো তুমি কোথাও নেই
অথবা কাব্যপ্রেমিক সত্যের সাহসী সৈনিকের প্রতিটি হৃদয়ে তুমি আছো।
তোমাকে আমি আশির্বাদ করি।
তুমি, তেজোদীপ্ত সূর্যের মতো হবে
প্রতিটি সুস্থ হৃদয়ে তুমি মায়াময়ী, ছায়াময়ী
অক্সিজেন নির্গমনকারী কোটি কোটি বৃক্ষের মতো হবে।
বহুধাবিভক্ত পৃথিবীর উড়ন্ত পতাকাগুলোকে
বিশ্বস্ত কান্ডারীর মতো প্রশান্ত ছায়াতলে সমবেত করবে।
তোমার জন্য আমার শুভ কামনা।
ইতি
অখ্যাত, অনামধারী
একজন।
৪৬/২৪