জীবনপুরের ঐ পুকুরে অনেক মাছের বাসছিল
রুইকাতলার বাড়ির কাছে চুনোপুটিও ভাসছিল।
রুই মশাই আর কাতলাবাবুর কুটুম্বিতা খাসছিল
ওদের সাথে আত্নিয়তায় চুনোপুটির আশ ছিল।
এসব কথা বুঝতে পেরে চ্যাংরা গড়াই নাচছিল
পুকুর পারে নাইতে আসা হাসগুলো সব হাসছিল।
চুনোপুটির মনের কথায় রুইকাতলার রাগছিল
রুইএর ভাষায় চুনোপুটির বুকের ভিতর দাগছিল।
পাশের বাড়ির আকাশ বাণির ভাবগীতি এক বাজছিল
সেই সময়ে বন্ধুর বাড়ি একটা আমার কাজছিল।
উল্টো পথে ঘরছাড়া এক বদ্ধ পাগল যাচ্ছিল
হাসের হাসি বুঝতে পেরে পাগলটা খুব হাসছিল।
রুই কাতলা পুটির গালে চড়টা যখন মারছিল
রুই কাতলায় কুটুম্বিতায় পুটি ব্যাটার বাড়ছিল।
বুঝতে পেরে পুটির চোখে জলটা যখন আসছিল
অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে রুইকাতলা হাসছিল।
পুটির চোখে জলটা দেখে ট্যাংরা যখন কাঁদছিল
আমি সরল, হাদাবোকা দু'চার চরণ বাঁধছিল।
আমায় দেখে মাতব্বরে ভিষণ যখন হাসছিল
নিজের অবোধ বুদ্ধি জেনে লজ্বা তখন পাচ্ছিল।


ছ।২/২০