ভাবনার তীব্র দংশনে
পূড়ে যাচ্ছে বর্ণের অবয়ব,
পূড়ে যাচ্ছে বর্ণমালার সীমারেখা,
পূড়ে যাচ্ছে কবিতার শব্দাবলী।
কবিতার চেহারায় চৈতালি খরতাপ
উলঙ্গ চোখের নাগদৃষ্টি।
কবির চেহারায় যুদ্ধগামী সৈনিকের অনড়তা।
কিভাবে একজন কবি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকতে পারে
যখন মানবতার অনাথ, এতিম শিশুরা বিপর্যস্ত
আধিপত্যবাদি অসংযত কর্তারা সব
যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে শোনাচ্ছে অনর্গল।
আমাদের প্রগতিকে ধ্বংস করার জন্যে
পারমানবিক সভ্যনাশি যুদ্ধাস্ত্রের মহড়া দেখিয়ে যাচ্ছে অবিরাম।
নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষেরা আজ সন্ত্রস্ত।
কিভাবে একজন কবি স্বার্থমগ্ন আত্বকেন্দ্রিক মানুষের মতো ঘরের সংকীর্ণ দেয়ালে বন্দি থাকতে পারে।
সবাই পারলেও একজন কবি তা পারে না কখনো।
কেননা একজন কবি মানে
একজন শান্তির স্বপ্নদ্রষ্টা।
আজন্মকাল একজন কবিসত্বার মধ্যে বিরাজিত
মানবতার চীর উন্নত আকাশচুম্বি সৌধ।
একজন কবি হলেন
যুদ্ধের যুধিষ্ঠির
সত্যের শ্বাশত পথিক।


৪৯/৩৪