আজ আমার কবিতার মুক্তি দিবস
আমার কবিতারা আজ হাটবে
মাথা উচু করে
রাজকীয় ভঙ্গীতে।
মানবতার মুক্তির জন্যে
ওরা আজ মিছিল করবে।
কোনরক্তচোখের জুজু ভয়
ওদের থামাতে পারবে না কিছুতেই।
নির্যাতিত, নিগৃহিত মানুষের মুক্তির শপথে
ওরা এগিয়ে যাবে।
অত্যাচারির  দুয়ার পর্যন্ত পৌছে যাবে ওরা।
প্রচন্ড জোরে কড়া নাড়তে থাকবে তারা।
খট খট শব্দের অশান্ত আওয়াজ তুলবে সহসা
অত্যাচারীর বুক কেঁপে উঠবে হঠাৎ
ওরা চমকিয়ে তুলবে সেই সীমালঙ্ঘণকারীকে।
শঙ্কিত চোখে দরজায় উঁকি দিয়ে দেখবে
সেই সব কবিতার অটল সেনাদের।
তারপর ভয়ে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইবে
কবিতার সেই সব সত্যবাহিণীর কাছে।
তখন জগতের লাঞ্চিত, বঞ্চিত মানুষের দল
আনন্দে উল্লাস করতে থাকবে।
তাদের আনন্দের উজানি হাওয়ায়
পৃথিবীজুড়ে আবার বসন্ত আসবে।
পাখিরা সুর তুলে নেবে কণ্ঠে
কলকাকলিতে ভরে যাবে প্রতিটি জনপদ।
প্রজাপতিরা ফুলে ফুলে নেচে বেড়াবে সারাক্ষণ।
দুয়োরাণি আবার ফিরে আসবে নির্বাসন থেকে।
ডালিমকুমার যক্ষপুড়ি থেকে কাঞ্চনমালাকে নিয়ে ফিরে আসবে রাজপূড়িতে।
বিনাদোষে বন্দী কয়েদীরা আবার মুক্ত হবে।
পরিস্তান থেকে পরিরা নাচতে নাচতে
পৃথিবীতে চলে আসবে।
পৃথিবীর উপর দিয়ে এক অদ্ভূত আনন্দ সমীরণ প্রবাহিত হবে।
মানুষ মন থেকে সমস্ত কালিমা মুছে যাবে সে দিন।
মানবতার মুক্তির উল্লাসে
প্রাণ খুলে মহা আনন্দে হাসতে থাকবে সবাই।
সেই দিন মানব জাতির সত্যিকার জয় হবে।
সত্যিকার জয়।
৪৯/২৯